মাস খানেক ধরে বেসুরো ছিলেন। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবার বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন। ২৪ ঘণ্টাও সময় দিলেন না তৃণমূলের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক শেষ করে ফেললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিধানসভার স্পিকারের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরই, দলত্যাগের চিঠি পাঠালেন সুব্রত বক্সিকে। তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়লেন, এছাড়ও, দলের সমস্ত পদে থাকা সব দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের, দ্রুত সারতে হবে পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি
দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না। বাংলার যুব সমাজ সমস্যায় রয়েছে। এই দাবি তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। গত ২২ জানুয়ারি প্রথম বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ঠিক তার এক সপ্তাহ পরই বিধায়ক পদ ছাড়লেন তিনি। বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সামনে তিনি ইস্তফাপত্র লেখেন। সেই সময় তৃণমূলের সদস্য পদ ছাড়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বাকিটা শনিবার জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়ার আগেই তৃণমূল দল থেকেও বিদায় নিলেন রাজীব। ছাড়লেন তৃণমূলের সদস্য পদ। এছাড়াও, দলে থাকা অন্যান্য দায়িত্ব।
আরও পড়ুন-অমিত শাহের সভায় কি বিজেপিতে যোগদান, জল্পনা শুরু রাজীব-প্রবীর ঘোষালকে ঘিরে
প্রসঙ্গত, ঠিক একইভাবে পদত্যাগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাও আবার বাংলায় অমিত শাহের সফরের আগে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়াও শুভেন্দুকে কিছুটা অনুসরন করলেন। শুক্রবার রাতে রাজ্যে পা রাখছেন অমিত শাহ। ঠিক তার আগেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ৩১ জানুয়ারি রাজীবের প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ে সভা করবেন অমিত শাহ। শনিবার ৩০ তারিখ নদিয়া ও বনগাঁয় বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে শাহর। এই অবস্থায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দগল বদলের জল্পনা আরও তীব্র হল।