রাজীবের '‌মুখ ও মুখোশ' - দূরত্ব কি সেই ২০১৮ থেকেই, তাঁকে কী দিতে পারল না তৃণমূল

Published : Jan 22, 2021, 02:30 PM IST
রাজীবের '‌মুখ ও মুখোশ' - দূরত্ব কি সেই ২০১৮ থেকেই, তাঁকে কী দিতে পারল না তৃণমূল

সংক্ষিপ্ত

মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তার কারণ কী তৃণমূলের কাছে কী চেয়েছিলেন বনমন্ত্রী কবে থেকে শুরু দলের সঙ্গে দূরত্বের

শুক্রবার সবচেয়ে বড় খবর রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা। কিন্তু, কেন পদ ছাড়ৃলেন তিনি? তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, সেচ মন্ত্রক ফেরত চেয়েছিলেন রাজীব। অন্যদিকে হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর তথা দেলার তৃণমূল নেতা কল্যাণ ঘোষের দাবি, তলে তলে সদ্য প্রাক্তন বনমন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করছেন। রাজীবের 'মুখ ও মুখোশ' আলাদা। তিনি দেখতে ভালো, ভালো কথা বলেন - তাতে তৃণমূল কর্মীর যেন বিভ্রান্ত না হন।

এদিন, এক বেসরকারি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলকে সৌগত রায় জানান, রাজীব যা চেয়েছিলেন তা তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে দিতে পারেনি। তাঁর দাবি সেচ মন্ত্রক ফেরত চেয়েছিলেন রাজীব। তাঁর সেই আব্দার মানা সম্ভব ছিল না তৃণমূলের। অন্যদিকে, কল্যাণ ঘোষের দাবি, সেচ মন্ত্রকটা আসলে দারুণ লোভনীয় ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কেন?

সদ্য প্রাক্তন বনমন্ত্রীকে নিশানা করে কল্যাণ ঘোষ বলেছেন, সেচমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড়ে দল নয়, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রকৃত তৃণমূল কর্মীদের মারধর এবং মিথ্যে মামলাতেও ফাঁসান। নিজের পছন্দের লোকদের নিয়ে সেখানে একটি বলয় তৈরি করেছিলেন। সেইসঙ্গে পুকুর ভরাট, বেআইনি নির্মাণ, তোলাবাজি - সহ নানা অবৈধ কাজও করতেন। যোগ ছিল বালি মাফিয়াদের সঙ্গেও। নিজের আত্মীয়দের পাকা সরকারি চাকরি দিয়েছেন, এলাকার যোগ্যদের দিয়েছেন চুক্তিভিত্তিক চাকরি।‌ তাই যেন তেন প্রকারে সেচমন্ত্রীর লোভনীয় পদটি ফেরত চেয়েছিলেন তিনি।  
 
বস্তুত, ২০১১ সালে প্রথম মমতা সরকারের সময় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেচমন্ত্রী করা হলেও, ২০১৮ সালে, তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরর মন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, ওই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রাজীব ডোমজুড় কেন্দ্রে নিজের পছন্দের এক নির্দল প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণ ঘোষকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই দলনেত্রীর রোষাণলে পড়েছিলেন তিনি।

তাহলে কি ২০২১-এ নয়, ২০১৮ সাল থেকেই ধীরে ধীরে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের? সেচমন্ত্রীর লোভনীয় পদ না পেয়েই কী কাজ করতে পারছি না সুর তুলে গেরুয়া শিবিরে পা বাড়িয়েছেন তিনি? তৈরি হয়েছে বিবিধ জল্পনা।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Holidays: বছর শেষে বড় চমক রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য, ছুটি নিয়ে দুর্দান্ত ঘোষণা নবান্নের পক্ষ থেকে
মেসির কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, মমতা গেলেন না যুবভারতীতে