তৃনাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান
আবারও মুখ খুললেন আসানসোল শিল্পাঞ্চলের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ আচার্য। তাতেই উস্কে গেল দলবদলের জল্পনা। মঙ্গলবার কুলটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন মানুষ হিসেবে যদি জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁকে ডাকেন তাহলে মাঝরাতেও তিনি চলে যাবেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে ডাকলে তিনি যেতে নারাজ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন দলের অন্য কেউ যদি তাঁকে ডাকেন তাহলেও তিনি যাবেন না। অভিজিৎ আচার্য স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন কুলটিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না।
অভিজিৎ আচার্যের এই মন্তব্যে আরও উস্কে গেছে তাঁর দল বদলের জল্পনা। যদিও আগেই আসানসোল পুরপ্রশাসকের কাছে ইস্তফা দিয়ে এসেছিলেন অভিজির আচার্য। একাধিকবার প্রকাশ্যেই দলের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তিনি। অভিজিৎ আচার্য জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে হিন্দুদের হয়ে কাজ করা যায় না। সহজে কাজ হয় সংখ্যালঘুদের জন্য। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রীতিমত সরগরম হয়েছিল রাজ্যরাজনীতি। কুলটি এলাকা থেকে অভিজিৎ আর তাঁর স্ত্রী দুজনেই তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর ছিলেন। একায় রীতিমত দাপটও রয়েছে তাঁর। সংগঠনের রাশও অনেকটাই তাঁরই হাতে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগে থেকেই একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভায় অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। যা নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে দলবদলের জল্পনা।
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় সঙ্গেই একটি বৈঠক করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় বৈঠকই হয় তাদের মধ্যে। সেই সময়ই তাঁর দলবদলের জল্পনায় উত্তাল হয়েছিল আসানশোল শিল্পাঞ্চল। যদিও স্থানীয় এক নেতা জানিয়েছিলেন অভিজিৎ আচার্য চলে গেলেও দলে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে তিনিও সেই সময় দল বদল বা জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাত ধরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন অভিজিৎ। মাসখানেক আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দল বদলের জল্পনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্যরাজনীতি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে জাতীয় মুখপাত্র করে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে এখনই দল ছাড়ার কোনও চিন্তাভাবনা করবে না জিতেন্দ্র। কিন্তু রাজনীতিতে ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে তাঁর ঘনিষ্ট অভিজিৎ আচার্যর দল বদলের জল্পনা।