রীতিমত ছক কষে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে জমা পড়ল রিপোর্ট

Published : Jun 29, 2021, 12:24 PM ISTUpdated : Jun 29, 2021, 01:20 PM IST
রীতিমত ছক কষে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে জমা পড়ল রিপোর্ট

সংক্ষিপ্ত

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে রীতিমত ষড়যন্ত্র করে হিংসা তৈরি করা হয়েছে ছক কষে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে  রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর কাছে

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা রীতিমত ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে। ছক কষে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই মর্মেই রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষণ রেড্ডির কাছে।  তবে এটি অন্তবর্তী রিপোর্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে দেওয়া তথ্যের আরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দেন বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, কেরালার প্রাক্তন মুখ্য সচিব আনন্দ বোস, ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন ডিজিপি নির্মল কৌর, আইসিএসআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি নিসার আহমেদ, কর্ণাটকের প্রাক্তন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম মদন গোপাল । 

কী কী খুঁজে পেল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি

১। পূর্ব পরিকল্পনা মতো ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার দিন অর্থাৎ ২ মে, ২০২১ রাত থেকে হিংসা হয়েছে। অধিকাংশ স্থানেই হিংসার জন্য আগে থেকেই চক্রান্ত করা হয়েছিল।

২। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হিংসার নেতৃত্ব ছিলেন এক্কেবারে পেশাদার গুণ্ডাবাহিনী, মাফিয়া ডনস এবং অপরাধীদের দল। পুলিশের খাতায় এদের নামও রয়েছে। অনুসন্ধানে আরও বেরিয়ে এসেছে যে নির্বাচনের আগে থেকেই এদের দিয়ে সন্ত্রাস ছড়াতে রাজনৈতিক মদত দেওয়া হয়েছিল

৩. এই ধরণের ঘটনাতে গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে ধ্বংস চালানো হয়েছে। যার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল মানুষের ক্ষতিসাধন করা। হিংসার জেরে ক্ষতি হয়েছে মানুষের সম্পত্তির, বাড়িঘর ও ব্যবসার। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মানুষ। 

৪. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিশোধের ভয়ে বা পুলিশের প্রতি বিশ্বাসের অভাবের কারণে পুলিশে অভিযোগ জানাতে ভয় পান। যেসব ভুক্তভোগীরা পুলিশকে জানাতে সাহস করেছেন, তাদের হয় দোষীদের সাথে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে, নয়তো মামলা দায়ের করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। 

৫. জোর করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া, কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমর্থন না করার জন্য জোর করা, তোলাবাজি বা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করার ঘটনা ঘটেছে।  

৬. তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, মহিলা, শিশু এবং সমাজের অন্যান্য দুর্বল অংশের লোকদের টার্গেট করা হয়েছে একাধিকবার।

৭. যদিও হতাহতের সঠিক সংখ্যা, মারাত্মক জখম, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে একশ্রেণীর মানুষ, বিশেষত যারা এই ধরণের হিংসা তৈরি করছে, তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা ও সুবিধা ভোগ করছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

ফের বাংলায় মেগা যোগদান বিজেপিতে, তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিতে চলেছেন কারা? জল্পনা তুঙ্গে
Today live News: Share Market Today - মঙ্গলবারের বাজারের প্রাথমিক লেনদেন পতনের ইঙ্গিত! এর মাঝে কোন স্টকে আজ নজর রাখবেন?