রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দানের পর থেকেই তৈরি হয়েছিল সংঘাতের আবহ। এবার অধিকারী বনাম রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে আসল। এবা দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল প্রবীণ তৃণমূল নেতা ও সাংসদ শিশির অধিকারীকে। পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন অখিল গিরি। ডিএসডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অখিল গিরি। এবার শিশির অধিকারীকে সরিয়ে তাকিয়ে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল।
বর্তমানে কাঁথিতে নেই তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। চিকিৎসার জন্য তিনি রয়েছেন কলকাতায়। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,'আমার কাছে এখনও এমন কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবরটি পেয়েছি। তবে এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।' অন্যদিকে অখিল গিরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে সোমবার রাতে এই নির্দেশনামা পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, শিশির অধিকারীকে দিঘা-শংকরপুর উন্নয় পর্ষদ থেকে সরানোর ফলে অন্তিম পর্যায়ে এসে দাঁড়াল অধিকারী পরিবার ও রাজ্য সরকারের সম্পর্ক।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকেও কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই পলা জানুয়ারি দাদা হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের অপর দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। শিশির অধিকারী বলেছিলেন,'ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাবে। জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ।' রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই প্রশাসনিক রোষের মুখে পড়তে হল প্রবীণ সাংসদকে।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকে আক্রমণ শানানো হয়েছিল, নিজের পরিবারে পদ্ম ফোটাতে পারেন না বাংলা পদ্ম ফোটাতে চলেছেন। তারপরই ভাই সৌমেন্দুকে যোগদান করিয়ে নিজের প্রাক্তন দলকে জবাব দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এবার ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকে শিশির অধিকারীর অপসারনের পর কি সিদ্ধান্ত নেন অধিকারীর পরিবারের পরিবারের বাকি সদস্য সেদিকেই নজর সকলের। তবে সৌমেন্দুকে কাঁথির পুর প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর পর যেভাবে সরব হয়েছিলেন দিব্যেন্দু ও শিশির অধিকারী। তাতে বিজেপি যোগদানের জল্পনা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।