বিধায়কের দলবদল, রাজীব না তৃণমূল- ডোমজুড় কোনদিকে থাকবে, স্থির হবে ১০ এপ্রিল

Published : Apr 08, 2021, 04:34 PM ISTUpdated : Apr 08, 2021, 04:39 PM IST
বিধায়কের দলবদল, রাজীব না তৃণমূল- ডোমজুড় কোনদিকে থাকবে, স্থির হবে ১০ এপ্রিল

সংক্ষিপ্ত

গত জানুয়ারি মাসে ভোল পাল্টান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়  এ বছরের গোড়ায় বিজেপিতে যোগ দেন ডোমজুড়ের সিটিং এমএলএ ২০২১ -এর ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রাক্তন দলের কর্মীসদস্যদের বিক্ষোভের মুখে রাজীব  কালো পতাকা দেখানো হয়েছে দরজায় দরজায় ভোট প্রার্থনার সময়ে

তাপস দাস: অর্ধশতাব্দী ধরে ডোমজুড় ছিল কমিউনিস্ট পার্টির দুর্গ। ১৯৫১ থেকে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টি, ও পরে সিপিএম এই বিধানসভা এলাকা দখলে রেখেছিল। বাম পতনের বছরে ২০১১ সালে এই এলাকার দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। যিনি জিতেছিলেন, তিনি মমতা মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃদুভাষী রাজীব মমতা মন্ত্রিসভায় সেচমন্ত্রী থাকাকালীন দায়িত্ব পালনে পয়লা নম্বর ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গত জানুয়ারি মাসে ভোল পাল্টান। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবার অব্যবহিত পরেই তিনি দল নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ ব্যক্ত করতে শুরু করেছিলেন। তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এ বছরের গোড়ায় বিজেপিতে যোগ দেন ডোমজুড়ের সিটিং এমএলএ। এবং পেয়ে যান ডোমজুড়ের পদ্ম টিকিট। 

আরও পড়ুন-চতুর্মুখী লড়াইয়ের কেন্দ্র ভাঙড়, নকশাল-পীরজাদা ভোট কাটাকাটিতে লাভের গুড় কে খাবে...

 

 

২০১১ সালের নির্বাচনে রাজীব হারিয়েছিলেন তার আগের বারের বিধায়ক সিপিএমের মোহান্ত চ্যাটার্জিকে। রাজীব সেবার ১ লক্ষ ১ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন, আর মোহান্ত পেয়েছিলেন ৭৬ হাজারের বেশি ভোট। ২০১৬ সালে কিন্তু সিপিএম নয়, রাজীবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি ছিলেন, তাঁর নাম প্রতিমা দত্ত। তিনি বালির খুন হওয়া তৃণমূল নেতা তপন দত্তের স্ত্রী। তপন দত্ত খুন হন ২০১১ সালের মে মাসে। ২০১৬র ভোটে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল হিসেবে। সেবার এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। কল্পনা পেয়েছিলেন ৪১ হাজারের বেশি ভোট। রাজীব ১ লক্ষ ৪৮ হাজারেরও বেশি ভোট পান। 

 

 

২০২১ -এর ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রাক্তন দলের কর্মীসদস্যদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন রাজীব। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে দরজায় দরজায় ভোট প্রার্থনার সময়ে। পথ অবরোধও করা হয়েছে। এবার সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কল্যাণেন্দু ঘোষ। সংযুক্ত মোর্চার হয়ে দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের উত্তম বেরা। ১০ বছর আগের নির্বাচনে ডোমজুড় কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির পার্থসারথি বক্সী। পেয়েছিলেন ৪২১০ ভোট। তার পাঁচ বছর পর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত দাস ১৫৪৮৯টি ভোট পান।

 

 

হাওড়া জেলায় প্রান্তে অবস্থিত ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র হুগলি জেলার  শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শ্রীরামপুর থেকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪১০ ভোট পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু বিজেপির দেবজিৎ সরকার যে ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন, সে কথাও উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। এবারের ভোটে রাজীব পরপর তিনবার জেতেন না তৃণমূল কংগ্রেস বারবার তিনবার ডোমজুড়ের দখল রাখতে পারে, সেদিকে নজর থাকবে সকলের। এই কেন্দ্রে ভোট হবে চতুর্থ দফায়, ১০ মে।  

PREV
click me!

Recommended Stories

Dilip Ghosh: ‘বাবরের নামে কোনও মসজিদ হবে না!’ সরাসরি হুমায়ুনকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের
Adhir Ranjan Chowdhury: ‘ভোটের সময় ওনাকে প্রমাণ করতে হয় উনি অনেক বড় হিন্দু!’ মমতাকে ধুয়ে দিলেন অধীর