সোনালী গুহ সহ বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেকেই ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফেরার বার্তা দিয়েছেন । এরই মাঝে বিষ্ণুপুরে বিজেপির এক সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ার কথা জানিয়ে ও দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে জল্পনা উসকে দিলেন সৌমিত্র খাঁ । বিষ্ণুপুরের ওই সাংগঠনিক বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ।
আরও পড়ুন- রাজ্যাভিষেক - তৃণমূলের নতুন জাতীয় সম্পাদক হলেন অভিষেক, গুরুদায়িত্ব সায়নীকেও
বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, লকডাউন চলছে । মিটিং-মিছিল বন্ধ রয়েছে । রাজ্য সরকারের সেই লকডাউনের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এরপরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় । তার উপর তিনি দলের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছেড়েছেন । প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি তিনি বিজেপি ছেড়ে 'ঘরে' ফিরতে চাইছেন ।
গত লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র । ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদও হন । তাঁর হয়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা । কিন্তু এবার বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি । স্ত্রী তৃণমূলে ফিরলেও সৌমিত্র ফেরেননি । কিন্তু হঠাৎ তাঁর এই পদক্ষেপে অন্য গন্ধ পেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ । যদিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে সৌমিত্র বলেন, 'এরকম অনেক হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপ থাকে । কখনও কখনও দু'একটা থেকে বেরিয়ে যেতে হয় ।'
এই জল্পনার মাঝেই সৌমিত্র প্রতি বার্তা দিয়েছেন স্ত্রী সুজাতা । এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "আমি প্রথম থেকেই বলছিলাম সৌমিত্র বিজেপি ছেড়ে দেওয়া উচিত । যে বিজেপি ঘর ভাঙায় সেখানে থাকার কোনও মানে হয় না ।'
এর আগে যুব মোর্চার জেলা সভাপতি নিয়োগ ঘিরে দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খাঁর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল । সেই সময় সৌমিত্রর নিয়োগ করা সব জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ । তাঁর এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে সৌমিত্র জানিয়েছিলেন যে তিনি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছেড়ে দেবেন । যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে গিয়েছিলেন । পরে অবশ্য ফিরে এসেছিলেন ।
এবার তাঁর এই পদক্ষেপ ফের একবার জল্পনা উসকে দিল ।