সকালে নন্দী গ্রামের সোনাচুঁড়া ও বিকেলে কাঁথি। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে শুধু আক্রমণই নয়, দল ভাঙিয়ে শাসক দলের উপর চাপও বাড়ালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছরের প্রথম দিনে জোড়া কর্মসূচি করেন তিনি। সোনাচুঁড়ার সভা থেকেই ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের কথা নিশ্চিৎ করেন শুভেন্দু। কাঁথির সভা থেকে সৌমেন্দু সহ মোট ১৫ জন কাউন্সিলর ও ৫ হাজার তৃণমূল কর্মী যোগ দেয় বিজেপিতে। এছাড়া কাঁথির সভা থেকে নিজের বিজেপিতে যোগ দানের কারণ সম্পর্কেও মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপিতে যোগ দানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে 'বিশ্বাসঘাতক', 'মীরজাফর' বলে তোপ দেগেছে শাসক দল। কোন গোপন চুক্তির বিনিময়েই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাসক দলের নেতারা। শুক্রবার কাঁথির সভা থেকে তৃণমূল নেতাদের তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন কোন চুক্তিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী কাঁথির সভা থেকে বলেন, রাজ্য প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষা ও চাকরী হওয়া, ২-৪ হাজারের অস্থায়ী নয়, যোগ্য বেতনের স্থায়ী চাকরির সমাধান, বাংলায় আয়ূষ্মাণ ভারত যোজনা চালু করা ও সকলকে সেই সুবিধার আওতায় আনা, এছাড়া কেন্দ্রের কৃষি যোজনায় সকল কৃষকরা যাতে ৬ হাজার টাকা করে পায়, তা বাস্তবে পরিণত করা। এই সকল জনহিত কর চুক্তির জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেবলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
এছাড়াও সর্বপরি বাংলায় যে অপশাসন চলছে, অরাজককতা চলছে, তা শেষ করে রাজ্যে আইনের শাসন ও সুশাসন ফেরানোর লক্ষ্যেই তার বিজেপতে যোগ বলে জানান শুভেন্দু। এছাড়া শুক্রবার সোনাচুঁড়া ও কাঁথি দুই সভা থেকেই শাসক দল ও 'তোলাবাজ ভাইপোকে' তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। গরু পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রের পর তোলাবাজ ভাইপোর পালা বলেও জানান তিনি। একইসঙ্গে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ পুরো বাংলায় পদ্ম ফোটানোই তার লক্ষ্য বলে জাননান বিজেপি নেতা।