এবার ক্ষুদিরামের মুর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শাহ, কৃষকের বাড়িতে সারবেন মধ্যাহ্নভোজ

  •  এবার ক্ষুদিরামের মুর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শাহ
  •  ক্ষুদিরাম বসু-র বংশধরদেরও সংবর্ধনা দেবেন এবার তিনি 
  • মেদিনীপুর সফরে চাষীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করবেন শাহ 
  •  মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসমাবেশে হাজির হবেন অমিত শাহ  

 

Ritam Talukder | Published : Dec 17, 2020 1:11 PM IST


শাহাজাহান আলি-পশ্চিম মেদিনীপুর:- অমিত শা-র বাঁকুড়াতে বীরসা মুন্ডার মুর্তিতে মালা দেওয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই ৷ তারপরের সফরে এবার শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জেলাতে এসে তাঁর মাসী বাড়িতে থাকা মুর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসুচী তাঁর ৷ সেই সঙ্গে ক্ষুদিরাম বসু-র পরিবারের কাকা-র বংশধরদের সংবর্ধনা দেবেন তিনি ৷ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ৷ ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর সফরে সমাবেশ ও চাষীর বাড়িতে মধ্যাহ্ণ ভোজনের পর্ব প্রস্তুতিও প্রায় শেষ দলের ৷ 

১৯ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে উপস্থিত হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শা ৷ ওই দিন বেলা ১২ টা নাগাদ মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন আবাস এলাকাতে  সরকারি হেলিপ্যাডে তিনি নামবেন ৷ সেখান থেকে সড়ক পথে দুকিমি দুরে মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে ক্ষুদিরাম বসুর মাসি বাড়িতে থাকা ক্ষশদিরামের মুর্তিতে মালা দেবেন তিনি ৷ সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে ক্ষুদিরাম বসুর কাকা-র পরিবারের বংশধরের তিনজনকে সংবর্ধনা দেবেন তিনি ৷ এরপর সেই স্থানেই থাকা সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে পুজো দেবেন ৷ পরে সেখান থেকে সড়ক পথে ১৪ কিমি দুরে থাকা শালবনীর কর্ণগড় এলাকাতে মহামায়া মন্দিরে পুজো  দেবেন  ৷ পুজোর পর্ব সেরে সেখান থেকে ফেরার রাস্তায় মন্দির থেকে তিন কিমি দুরে এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্ণভোজন করবেন অমিত শা ৷  পরে সেই স্থান থেকে গাড়িতে করে সড়ক পথে তেরো কিমি দুরে থাকা মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসমাবেশে হাজির হবেন ৷ 


 এই কর্মসুচী সফল করতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরের প্রস্তাবিত সফর স্থানগুলি পরিদর্শন করে ফেলেছেন ৷ মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশের কর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন বেশ কয়েকঘন্টা ধরে ৷যেখানে ছিলেন বিজেপির পুরুলিয়ার সাংসদ জোতির্ময় সিং মাহাতো,জেলা বিজেপি সভাপতি ৷  সম্প্রতি নাড্ডার কনভয়ে হামলার কথা মাথায় রেখে জেলা পুলিশের কড়াকড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী অতিরিক্ত সতর্ক থাকছে ৷ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ওই দিন কোনো ফাঁক ফোকর না রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ বাতিল করা হয়েছে বহু পুলিশ কর্মীর ছুটি ৷ 


তবে জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত দাস বলেন, 'গতবার রাজ্য পুলিশের ওপরে ভরোসা করে আমরা আমাদের নেতৃত্ব হমলার শিকার হয়েছেন ৷ এবার আমরা তৈরী থাকব ৷ রাজ্য পুলিশের ওপরে ভরসা করি না আমরা ৷ এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী যেমন সক্রিয় থাকবে তেমনি আমরা আমাদের দলের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীকেও তৈরী রাখবো ৷ কোথাও আক্রমন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ঠিক নেওয়া হবে ৷'

Share this article
click me!