আশিস মণ্ডল, বীরভূম-বুধবার ৩৯তম বইমেলা শুরু হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভা মাঠে। আমন্ত্রণপত্রে ফিরে এসেছে বাম সংস্কৃতির ছায়া। জেলার ১১ জন বিধায়কের মধ্যে শাসকদলের ৮ জন বিধায়কের নাম সম্মানীয় অতিথিবর্গের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে। ওই তালিকায় জায়গা পাননি রামপুরহাটের ঢিল ছোঁড়া দুরত্বের হাঁসন বিধানসভার বিধায়ক কংগ্রেসের মিল্টন রশিদ, নানুরের সিপিএম বিধায়ক শ্যামলী প্রধান ও লাভপুরের দলত্যাগী বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। বিজেপিতে যাওয়ায় ব্রাত্যদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মনিরুল সাহেবও।
আরও পড়ুন-'তোলাবাজ ভাইপো'থেকে 'বহিরাগত', সবকিছুর জবাব এক সভায় দিলেন অভিষেক
সাংসদ অসিত মাল বলেন, “আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাই মেলায় হাজির ছিলাম। কাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বা কার্ডে নামে নেই, সেটা কমিটি বলবে”। জেলা গ্রন্থাগারিক তথা বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব নির্মাল্য অধিকারী বলেন, “আমন্ত্রপত্র ছাপানর দায়িত্ব আমার ছিল না। ফলে এনিয়ে কিছু বলতে পারব না”। তবে কার দায়িত্ব রয়েছে তাও তিনি জানাননি। নানুরের বিধায়ক সিপিএমের শ্যামলী প্রধান বলেন, “এখানে যে বইমেলা হচ্ছে সেটা তৃণমূলের টাকায়। তাই আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে সরকারি টাকাই হলে আমাদের ডাকা হত। শুধু এবার নয়, কোনবারই আমাদের জানানো হয় না। এটাই ওদের সংস্কৃতি”।
২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর। শাসক দলে ছিল বামফ্রন্ট। সে সময় রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে হয়েছিল ত্রয়োবিংশ জেলা বইমেলা। সেই সময় রামপুরহাটের বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসের অসিত মাল। বর্তমানে তিনি বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ। বইমেলার আমন্ত্রণ পত্রে জেলার সব বাম বিধায়কের নাম থাকলেও ব্রাত্য রাখা হয়েছিল আশিসবাবু এবং অসিতবাবুকে। স্বাভাবিক ভাবেই গোঁসা করে দুই বিধায়ক বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন।