মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়নে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়নি বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন এককালে তাঁর প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী। এবার তার বিরুদ্ধেই পাল্টা নির্বাচন কমিশনে গেল ঘাসফুল। তৃণমূলের অভিযোগ শুভেন্দু হলদিয়া আর নন্দীগ্রাম- দুটি কেন্দ্রেরই ভোটার। ভোটার তালিকায় কেন্দ্র পরিবর্তন ও মনোনয়ন দাখিল করার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ পুরোটাই মিথ্যা। তিনি বলেন হলদিয়া কেন্দ্রের ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটানোর জন্য ৭ নম্বর ফর্ম তিনি জমা দিয়েছেন। আর নন্দীগ্রামে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ৬ নম্বর ফর্মও তিনি নিজে জমা দিয়েছেন। দুটির রিসিড তাঁর কাছে রয়েছে। তৃণমূল পুরনো কোনও ভোটার লিস্ট নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়নকেও একহাত নেন শুভেন্দু। তিনি বলেন দিল্লিতে বসে বসে এই কাজ করছেন ডেরেক, অথচ তিনি নিজে কোনও দিনে পঞ্চায়েত বা স্কুলের নির্বাচনেও লড়াই করেননি। দিদিকে তোয়াজ করে নমিনেটেড প্রার্থী হিসেবেই সাংসদ হয়েছেন।
লালমাটির ঝাড়গ্রামে ত্রিমুখী লড়াই, কার হাতে থাকবে 'জঙ্গলমহল'র দায়িত্বভার ...
'দুয়ারে রেশন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করেননি, আর কী বলেন মমতা শুনে নিন .
শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়ার ভোটার ছিলেন। এবছরই কেন্দ্র পরিবর্তন করে নন্দীগ্রামের ভোটার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। ২১০ নম্বর নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোটার। তাঁর সিরিয়াল নম্বর ৬৬৯ পার্ট নম্বর ৭৬। তৃণমূলের অভিযোগ শুধু নন্দীগ্রাম নয় শুভেন্দু হলদিয়ারও ভোটার। সেখানে তাঁর সিরিয়াল নম্বর ৩০৫। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ মিললে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সেই অভিযোগ তুলেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।