ভারতী ঘোষের রোডশোতে হামলা
পুলিশের সামনেই বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের
'লুঙ্গি পড়া লোক'দের দিকে আঙুল ভারতীর
পুলিশের বিরুদ্ধে মদতের অভিযোগ
কোনও প্রার্থীকে আক্রমণ বা কোনও রাজনৈতিক দলকে প্রচার করতে না দেওয়া - এক নতুন হিংসাত্মক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার, এই অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই শিকার হলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। ঘটনাস্থল বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের মাড়গ্রাম। ভারতী ঘোষের অভিযোগ পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কোনও প্রার্থীকে আক্রমণ বা কোনও রাজনৈতিক দলকে প্রচার করতে না দেওয়া - এক নতুন হিংসাত্মক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার, এই অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই শিকার হলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। ঘটনাস্থল বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের মাড়গ্রাম। ভারতী ঘোষের অভিযোগ পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী ঘটেছে? এদিন বীরভূমের হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মাড়গ্রামে হাঁসন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। হাতিবাঁধা মোড় থেকে রোড শো শুরু হয়ে ধুলফেলা মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল রোড শোটি। ধুলফেলা মোড় পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। রোডশো সেখানে পৌঁছতেই স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয় থেকে কিছু লোকজন বেরিয়ে ভারতী ঘোষের পথ আটকায় বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, প্রথমে ভারতী ঘোষকে কালো পতাকা দেখানো হয়, সেইসঙ্গে ছিল 'গো ব্যাক' স্লোগান। তারপর একেবারে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয় তারা, এমনটাই গেরুয়া শিবিরে অভিযোগ। এমনকী, কাদের কাছে বিজেপির পতাকা আছে, এমন খুঁজে খুঁজে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। ভারতী ঘোষের দাবি, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনার পরই হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে এসে রাস্তায় বসে পড়েন ভারতী ঘোষ এবং বিজেপি প্রার্থী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত রামপুরহাট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সায়ন আহমেদ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভারতী ঘোষের অভিযোগ, মাড়গ্রাম থানার ওসি প্রদীপ ঘোষের মদতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে সামনে রেখে, তৃণমূলের কিছু 'লুঙ্গি পড়া লোক' এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা ছিল 'নির্বাক দর্শকের মতো'। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ উল্টে বিজেপি কর্মীদেরই দোষারোপ করছে, হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী।
পুলিশ সুপারকে ভারতী বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কমিশনেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় দোষী সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি বলেন, 'এভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা যাবে না'।