'নিয়ামতকে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক', হরিহরপাড়ায় অধীর-সেনাপতির হারের স্বপ্নে বিভোর তৃণমূল

  •  হরিহরপাড়ায় জমে উঠেছে ভোট যুদ্ধের লড়াই 
  • অধীরের সেনাপতি বনাম সৈনিক নিয়ামত শেখ
  •  যদিও আদতে ঠান্ডা লড়াইয়ের শুরুটা  ২০০১সালে 
  • দাবি, তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে 
     

Asianet News Bangla | Published : Mar 15, 2021 12:14 PM IST / Updated: Mar 29 2021, 07:47 AM IST

 হরিহরপাড়া বিধানসভায় জমে উঠেছে অধীরের সেনাপতি বনাম তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বিশ্বস্ত সৈনিক নিয়ামত শেখ এর লড়াই। যদিও আদতে ঠান্ডা লড়াইয়ের শুরুটা হয়েছিল ২০০১সালে। ওই বছরই হরিহরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্দলে জিতে চমকে দিয়েছিলেন নিয়ামত শেখ। সেবার আরও তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে জেলার বাসিন্দাদের চোখ ছিল হরিহরপাড়ার দিকে। কঠিন লড়াই করে চ্যালেঞ্জ জিতেছিলেন। ২০০১সালের মতো টানটান লড়াই না থাকলেও এই কেন্দ্রে বিরোধীরা এবারের নির্বাচনের আগে অনেকটাই নিজেদের ঘর গুছিয়েছে। লড়াইয়ের জন্য তারাও অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। ছ’মাস ধরে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বলে দলের কর্মীদের দাবি।


 তাঁদের দাবি, বিধায়কের এলাকায় জনসংযোগ রয়েছে। এটা তাঁর কাছে অন্যতম বড় প্লাস পয়েন্ট। যদিও কংগ্রেস নেতা মহফুজ আলম ডালিম বলেন, ২০০১সালে জয়ের পিছনে ওঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। অধীর চৌধুরীর দৌলতে জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে আমি জোটের প্রার্থী ছিলাম। আমাকে হারিয়ে উনি জয়ী হয়েছিলেন। তাই সবটাই আমার জানা রয়েছে। এবার তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক হরিহরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ওরা হারবে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, কংগ্রেস জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছে। এই কেন্দ্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ কাজ দেখে ভোট দেবে। বিধায়কের জনপ্রিয়তা রয়েছে বলেই ২০১৬সালেও জয়ী হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে তিনি ৭১হাজার ৫০২টি ভোট পেয়েছিলেন। এবারও তাঁর জেতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। 


তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নিজেদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। কোথাও কোথাও তা বড় আকার নিয়েছে। বারবার কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় দলে অস্বস্তি বেড়েছে। কিন্তু হরিহরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ঘরোয়া দ্বন্দ্ব সামনে আসেনি। বিধায়কের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করে। সেই কারণে জেলার কোথাও কোথাও প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও এখানে তা নেই। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই নেতারা কোমর বেঁধে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রার্থীও প্রচারে নেমে গিয়েছেন। তিনি বলেন, যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি।স্থানীয়রা বলেন, হরিহরপাড়া ব্লকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেটা তুলে ধরেই বিরোধীরা শাসকদলকে বিঁধছে। এছাড়া তাদের সামনে আর কোনও ইস্যু নেই। 


কংগ্রেসের দাবি, এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল তা মানতে রাজি নয়। তাদের পাল্টা দাবি, কোথাও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব কাজই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও স্বজনপোষণ হয়নি।রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হরিহরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হবে। শাসকদল প্রার্থী ঘোষণা করলেও বিরোধীরা তা করতে পারেনি। তবে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলমগীর মীর এবারও তাদের দলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৬সালের নির্বাচনে লড়ে তিনি ৬৬হাজার ৪৯৯টি ভোট পেয়েছিলেন। গতবারের মতোই এবারও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে অনেকেই মনে করে।

Share this article
click me!