শুক্রবার 'শতাব্দী এক্সপ্রেস' থামিয়েছিল তৃণমূল
শনিবার ফেসবুক লাইভ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
এতদিন তাঁর ক্ষোভ নিয়ে চলছিল জল্পনা
এদিন আর কোনও আগল রাখলেন না রাজ্যের বনমন্ত্রী
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই ক্ষোভের ঝুলি নিয়ে এক এক করে সামনে এগিয়ে আসছেন তৃণমূল নেতারা। শুক্রবারই সারাদিনের প্রচেষ্টায় 'শতাব্দী এক্সপ্রেস' থামিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরদিনই, শনিবার ফেসবুক লাইভ করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সমপ্রদায়ের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ছবি দিয়ে দাদার অনুগামী পোস্টার, তাঁর ক্ষোভ নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছিল। এদিন আর কোনও আগল রাখলেন না রাজীব।
এদিন, ফেসবুক লাইভে এসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, রাজ্যে মেধার অভাব নেই। কিন্তু কাজ নেই বলে সেইসব সম্পদ ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। যা তাঁকে ব্যথিত করে। রাজ্যে যে উন্নয়ন হয়নি, ঠারে ঠারে তাও বুঝিয়ে দেন বনমন্ত্রী। তিনি জানান, সবাইকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, রাজ্যে শিল্প আনতে পারলে, কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
তিনি সবসময়, যুবদের জন্য কাজ করতেই চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজীব। কিন্তু, তা করতে গিয়ে দলের একাংশের থেকেই বাধা পেয়েছেন। দলের সঠিক জায়গাতেই তা জানিয়েছেন, কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। তাই, এইসব কথা তিনি জলগণকে জানাতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দলে কাজ করার স্বাধীনতা নেই, নিজের মত প্রকাশের সুযোগ পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে দলে অনেকেই কর্মীদের প্রাপ্য সম্মান দেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনেই মানুষের হয়ে কাজ করতে চেয়েছেন। আর তা করতে গিয়ে বাধা পেতেই মুখ খুলেছেন। যা বলেছেন তা দলের ভালর জন্যই বলেছেন বলেও ফেসবুক লাইভে দাবি করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, দলের কিছু নেতা, সেইসব বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করছেন। আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি দলের ত্রুটি সংশোধনের কথা বললেই সমালোচনা হচ্ছে, কিন্তু, তাঁকে যারা কাজ করতে বাধা দিয়েছেন, তাদের কিছু বলা হচ্ছে না।
এরপরই তিনি বলেন, দলের বেশ কি্ছু ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি এখনই সংশোধন না করে নিলে, দলের সঙ্গে মানুষের দূরত্ব আরও বাড়বে। সেইসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও, তিনি যে এখনও দলেই আছেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। বলেন, বিবেকানন্দরে আদর্শ মেনে চলেন তিনি। তাই এখনও ধৈর্য্য ধরে আছেন তিনি।