মানহানিকর মন্তব্য়ের অভিযোগে শোভনকে আইনি নোটিশ পাঠালেন কুনাল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রোড শোতে বেরিয়ে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষকে নাম ধরে একের পর এক তোপ দাগেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া এবিষয়ে জানাননি শোভন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চিট ফান্ড কাণ্ডে কুণালের গ্রেফতারের জন্য দাবি তুলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে শোভন বলেন, 'চিট ফান্ড কাণ্ড এই লোকটির কি ভূমিকা ছিল। সে প্রকৃতপক্ষে কোনও রাজনীতিক সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তখন চিন্তা ভাবনা করে ৩ জনকে সাংসদ করেছিলেন। সেই তিন জনের মধ্য়ে এই মানুষটিও জড়িয়ে রয়েছেন। এখানেই শেষ নয় এরপর ইনকাম ট্য়াক্স ফাঁকি এবং অবৈধ টাকা আয়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন,' পকেটমারকে ধরে নিয়ে এসে যারা মুখপাত্র করেছে, তারা দেখবেন পায়ের তলা থেকে মাটিটা কোন দিন সরে গিয়েছে। নাম না করে একের পর এক তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষকে শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন,' ৩৬ বছর জন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। আমাকেও মানুষ জানে, কুণাল ঘোষকেও জানে। তাই মানুষই এর বিচার করে নেবে।' কুণাল সাংবাদিক হিসেবে যে অঙ্কের বেতন পেতেন তার জন্য যোগ্য ছিল 'দালালি' বলেও তীব্র আক্রমণ করেন শোভন।
অপরদিকে চিট ফান্ড কাণ্ডে শোভনের গ্রেফতারের দাবি তুলেছিলেন কুণালও। যদিও এরপর 'কুণাল ঘোষই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে', পাল্টা অভিযোগ আনেন শোভন। মূলত কুণাল যে বিষয়টিরকে সামনে রেখে শোভনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন, তা হল আইকোরের প্রয়াত কর্ণধার অনুকূল মাইতির সঙ্গে শোভনের ছবি সাংবাদিক সম্মেলনে দেখান কুণাল ঘোষ। মূলত শোভন-বৈশাখার রোড শোয়ে জল গড়ায় কুণাল নিয়ে। রোড শোয়ে কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় রোড শো থেকে বলেছিলেন, আয়নার সামনে দাঁড়াক এবার তৃণমূল। সরাসরি নাম তুলে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষকে। প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কে দোষী, রাজীব কুমার নাকি কুনাল ঘোষ।' তবে এরপর আর থেমে থাকেন কুণাল ঘোষও। ভোটের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে মানহানিকর মন্তব্য়ের অভিযোগে শোভনকে আইনি নোটিশ পাঠালেন কুনালও।