বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই অস্বস্তি বাড়ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি তো বটেই, গোদের উপর বিষ ফোঁরার মত দলের অন্দরে ক্রমশ বাড়ছে 'বেসুরো'-দের লাইন। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় প্রথমে ফেসবুক পোস্ট, তারপর সংবাদ মাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় চাপ বেড়েছে ঘাশফুল শিবিরে। তৈরি হয়েছে দল ছাড়া জল্পনাও। একইসঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণও। এই পরিস্থিতিতে দলের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনিও কি 'বেসুরো'-দের দলে নাম লেখালেন? উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্যে দল বদলের হিড়িক তৈরি হওয়ার বহু নেতানেত্রী ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছে। ঘর ভাঙানোর খেলায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সবসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত বলেই পরিচিত। তিনি কখনও প্রকাশ্যে দল বা প্রসাসনের কাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেননি। দলেরও গৌতম দেবের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অটুট।কিন্তু দিকে দিকে যেভাবে দল বদলের ঝড় উঠেছে সেই হাওয়া গৌতম দেবেরও গায়ে লাগল কিনা, তানিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পর্যটবন মন্ত্রীর একটি মন্তব্যকে ঘিরেই। একটি প্রকাশ্য সভা তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার পাশাপাশি অসহোযিগিতার অভিযোগ তুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বিরুদ্ধে।
নিজের বিস্ফোরক মন্তব্যে পর্যটন মন্ত্রা বলেছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে কোনও কাজ হয়নি। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির একাধিক রাস্তা সারাইয়ের জন্য বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও রকম সহযোগিতা করা হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রকে বার বার চিঠি দিয়েও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লেখার কথা জানিয়েছেন গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গ উন্নন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গৌতম দেব। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও মুখ খুলতে চাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। কিন্তু নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে গৌতম দেবের এহেন মন্তব্য শাসকের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।