'রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করে বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন', অমিত শাহকে নিয়ে ফের কটাক্ষ ফিরহাদের। দুদিনের সফরে এসে বাংলার যেখানেই যাচ্ছেন, পাখির চোখ করে বসে আছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবারে শান্তিনিকেতনে রবিঠাকুরের আঙিনায় পা রাখতেই মাথা ফের ঘুরল ফিরহাদের, মত রাজনৈতিক মহলের। মূলত অমিত শাহের সঙ্গে রবিঠাকুরের ছবির অবস্থান নিয়ে বিতর্কে শান দিলেন ফিরহাদ।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,' বাংলার মানুষকে সবচেয়ে বেশি উপেক্ষা করেছে বিজেপি। আর অমিত শাহ এখানে এসে নাটক করছে। অমিত শাহের পায়ের নীচে কেন রবীন্দ্র নাথের ছবি থাকবে। উনি কী রবীন্দ্রনাথের উপরে থাকবে। বিজেপি, রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীত বাতিল করতে চাইছে। জন্মস্থান বদলে দিতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করে বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমরা সবাই গান্ধীবাদ, সুভাষবাদে বিশ্বাসী। কিন্তু যে দল সুভাষ-গান্ধীবাদ ছেড়ে গান্ধীর হত্যা কারীর দিকে যাচ্ছে, তাঁদের ধিক্কার জানায়। দিলীপ ঘোষের কোনও আদর্শ নেই। এরা শুধু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাবার চেষ্টায় রয়েছে। এরা এখন ধান্দাবাদীদের নিয়ে দল তৈরি করতে চাইছে।'
অপরদিকে 'ভাইপো রাজকে উৎখাত করব' সেই নিয়ে ফিরহাদ বলেন,' এক একটা ভোটে এক একটা স্লোগান থাকে। আগের ভোটে ছিল, সারদা -নারদা স্লোগান। এবার ভাইপো স্লোগান এসব চলবে না। কারণ মানুষ মমতার উপর ভরসা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মুছতে পারবে না।' উল্লেখ্য শনিবার বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনেও শাহ-তে ছাড়েননি ফিরহাদ। আগের দিন তিনি বলেন, 'যারা বিবেকানন্দ এর আদর্শ যারা মানে না, তারা এসে বিবেকানন্দের গলায় মালা দিচ্ছে। যদি অমিত শাহ বিবেকানন্দ মানত তাহলে গুজরাটে দাঙ্গা হতো না. দিল্লিতে রায়ট হত না। রাজনীতির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করা, বিবেকানন্দের বাড়িতে যাওয়াটা লোক দেখানো, এরা কি করতে চাইছে সেটা বাংলার মানুষ ভালো বুঝতে পড়ছে।'