কংগ্রেস-তৃণমূল পুরাতন বিবাদকে কেন্দ্র করে তুলকালাম সংঘর্ষে হাঁসুয়া ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে খুন তৃণমূল কর্মী, গুরুতর জখম একাধিক থমথমে এলাকা। কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দল সমর্থক এর মধ্যে পুরাতন গ্রামীন বিবাদ কে কেন্দ্র করে তুলকালাম সংঘর্ষে এলোপাথাড়ি হাঁসুয়া ও ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন হতে হল তৃণমূল কর্মীকে।পাশাপাশি ঘটনায় তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম একাধিক।বুধবার দুপুরে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী হাড়োয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন, 'করোনাকালে অভিযুক্তদের জেলে রাখাটা কি জরুরী', নারদ-মামলায় প্রশ্ন উঠল আদালতে
পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। খুন হয়ে যাওয়া ওই তৃণমূল কর্মীর নাম মানারুল শেখ (৩৯)। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ঘটনায় গুরুতর জখম হয় আরোও তিনজন।তাদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মানারুল ও তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিবাদ চলছিল স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকদের বলে অভিযোগ। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই পরিস্থিতি আরোও জটিল হয়। এদিন দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চরমে পৌছলে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। তখনই স্থানীয় এক দল কংগ্রেস সমর্থক মানারুল ও তার ভাই কাবু শেখসহ অন্যদের ওপর হামলা করে। সেই হামলার ফলেই ধারালো অস্ত্র, হাঁসুয়ার আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় মানারুলের।
আরও পড়ুন, 'গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে', শুনানি শুরুর আগেই গুরুতর অসুস্থ মদন মিত্র
পরবর্তীতে আহত তার ভাই কাবু শেখ সহ অন্যান্যদের জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ব্যাপারে মানারুল এর বড় দাদা সোনারুল শেখ বলেন," আমরা দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী এলাকায় কংগ্রেস সমর্থকরা আমাদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো। পুরাতন ঝামেলাকে কেন্দ্র করে তারা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে"।যদিও এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাদের দাবি, তৃণমূল সমর্থকদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে পুরো গ্রাম থমথমে হয়ে রয়েছে। চারিদিকে চাপা উত্তেজনা।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।