গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার, জেলায় বিধায়ক সহ একাধিক নেতা-নেত্রীদের 'বেসুরো' হওয়া এছাড়ও একাধিক কারণে বিধানসভা নির্বাচনরে আগে বেশ চাপে হুগলির তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। এই আবহেই সোমবার হুগলির পুড়শুড়ায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলকে এককাট্টা করে লড়াইয়ের ময়দানে নামানোই প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল সুপ্রিমোর। মমতার হাই ভোল্টেজ সভাকে ঘিরে চড়তে শুরু করেছে জেলার রাজনৈতিক পারদ।
তবে পুরশুড়ার সভার আগেও অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, পুড়শুড়ার সভাতে অনুপস্থিত থাকতে চলেছেন উত্তর পাড়ার 'বেসুরো' তৃণমূল বিধয়াক প্রবীর ঘোষাল। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সভায়, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের। এমনকী সভার আগে দলের তরফ থেকে যে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছিল তাতেও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন উত্তর পাড়ার বিধায়ক। প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ ছিল, ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা তৈরির কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। ওই রাস্তায় হেঁটে যাওয়াও কষ্টের, গাড়ি চলা তো দূরের কথা। রাস্তার হাল নিয়ে দিদিকে বলো, দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে সব জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। কোনও কাজ হয়নি।’’ প্রবীরবাবু আরও বলেছেন, ‘‘কোথাও কিছু বলে কাজ না হওয়ায় এবার বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। দলেরই অনেকে আমাকে বলছেন, আমাকে হারানোর জন্যই নাকি রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হচ্ছে।’’ যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফেও পালটা তোপ দেগে বলা হয়,'দলের কাজে ময়দানে নামতে ওনাকে দেখা যায় না। উনি গয়নার মতো বিধায়কের পদে বসে রয়েছেন'। প্রবীর ঘোষালের বিজেপি যোগের বিষয়েও চলছে জল্পনা।
এছাড়া পুড়শুড়াতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও নতুন নয়। দলীয় কোন্দল জেলা তৃণমূলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভা আসনে কোনওক্রমে 'মান' বেঁচেছে তৃণমূলের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ এই পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ২৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। ফলে একদিকে জেলায় বিজেপি তরতররিয়ে উত্থান ও অপরদিকে বেসুরো নেতা নেত্রীদের ক্ষোভ প্রশমনে আজ পুড়শুড়ার সভা থেকে কি বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।