ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারছিল না সৃজা। এর ফলে পরীক্ষক শ্রীজাকে ডিসকোয়ালিফাই করে দেন।
বকুনি শুনে আত্মঘাতী স্কুল ছাত্রী। অনলাইন ক্লাসে নেটওয়ার্ক ইস্যুতে সে শিক্ষকের কাছে বকুনি (reprimanded by a teacher) খায়, তারপরেই মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে সে। ১১ বছরের স্কুলছাত্রীর (11 year old school girl) আত্মহত্যায় (school girl commits suicide) বেলঘরিয়া এম এম রোডের আবাসনে শোকের ছায়া।
অনলাইন ক্লাসে নেটওয়ার্ক ইস্যুতে সহপাঠীদের অনলাইন উপস্থিতিতে শিক্ষকের বকুনি ও কটু কথা শুনে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বেলঘড়িয়ার সৃজা মুখোপাধ্যায়। তার বয়স ১১ বছর। বেলঘরিয়ার এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া ছিল সৃজা। বুধবার অনলাইন ক্লাসে হেনস্থার শিকার হয়ে বাড়িতে সব জানায় সে। বাবা মাকে ক্লাস শেষের পর নিজের অসহায়তার কথাও জানায়। এরপর দুপুরবেলা বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন গার্ডেনে নিজের আবাসনে মায়ের শাড়ি গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে সৃজা মুখোপাধ্যায়।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠিয়েছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যায় লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছিল। সে সময় সৃজার পরীক্ষা চলছিল অনলাইনে। কিন্তু ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারছিল না সৃজা। এর ফলে পরীক্ষক শ্রীজাকে ডিসকোয়ালিফাই করে দেন।
এই ঘটনার ফলে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয় ১১ বছরের এই বালিকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলঘরিয়ার এম এম রোডের আবাসনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। করোনাকালে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন সিস্টেমে পড়াশোনা করছে ও পরীক্ষা দিচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরে অনলাইন সিস্টেম প্রক্রিয়াকেই সৃজার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন সৃজার বাবা সহ তার পরিবারের লোকজন।