আবার ফিরে এল এনআরএস কাণ্ডের স্মৃতি। ১৩ জানুয়ারি ১৫ টি কুকুর শাবককে পিটিয়ে মেরেছিল নার্সরা। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল নদিয়ায়।
একই এলাকায় ১২টি কুকুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার খিদিরপুর পূর্বপাড়ায়। অভিযোগ, গত সোমবার রাতে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি কুকুরকে খাবারের সঙ্গে বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়। গ্রামবাসীদের কথায়, সোমবার রাত ১০টার পর থেকে কুকুরগুলির দেখা পাননি তাঁরা। পাড়ার মোড়ে সব কুকুরগুলি এক সঙ্গেই থাকে। সোমবার রাতে কোনও কুকুর দেখা যায়নি। সন্দেহ হওয়াতে খোঁজ শুরু করেন তাঁরা।
খোঁজে নেমে যা দেখতে পান, তাতে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। দেখা যায় খিদিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চৌরাস্তা মোড়ে প্রায় ১ কিমি রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে কুকুরের লাশ। তখনই পঞ্চায়েত সদস্য রতন রায় এবং অনুপ মণ্ডল গ্রামবাসীদের নিয়ে নাকাশিপাড়া থানায় জানাল, ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজা সরকার তদন্তে আসেন। কুকুরের মৃতদেহ গুলিনিয়ে যান। রাস্তায় পড়ে থাকা বিষের প্যাকেটগুলি নিয়ে যান। এই ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত করে কঠিন শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গ্রামবাসীরা বলছেন ২০০০ সালেও একবার এই রকম ঘটনা ঘটেছিল। কুকুর মেরে দেওয়ার পরেই খিদিরপুরে একটি বড়সড় ডাকাতি হয় বলে সেবার। তারই পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা আতঙ্কে ভুগছে এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত এই বছরের শুরুতেই এনআরএস হাসপাতালে মারা যায় ১৬টি কুকুরশাবক। ময়নাতদন্তের দেখা যায় হাসপাতালে দুই নার্স পিটিয়ে মেরেছিল ওই কুকুর শাবকদের। এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন পশুপ্রেমীরা। কয়েক মাসের মধ্যেই আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষের নৃশংস মন বদলায়নি এতটুকুও।