খাগড়াগড় কাণ্ডে বিস্ফোরণের জেরে দোষী সাব্যস্ত করা হল ১৯ জনকে। বুধবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের তরফে ১৯ জন জেরায় তাদের দোষ কবুল করেছে। এনআইএ-র দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে খাগড়াগড় মামলার শুনানি চলাকালীন ধৃত ৩১ জনের মধ্যে ১৯ জনই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। বুধবার কড়া নিরাপত্তা বলয়ে তৈরি করে খাগড়াগড় কাণ্ডের ৩১ জন অভিযুক্তকে হাজির করা হয় আদালতে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তদের মধ্যে যে ১৯ জন তাদের দোষ কবুল করে নিয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন মহিলাও ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর চলে বন্ধ দরজা শুনানির পর বিচারক ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে।
এনআইএ-এর আইনজীবী জানিয়েছেন, দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হবে ৩০ অগাস্ট। এখনো পর্যন্ত এই মামলায় প্রায় ৮০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়ছে । দোষী ১৯ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করার পরই বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- কেমন আছেন বুদ্ধদেব, রাজ্যপাল সাক্ষাতে ছবি এল প্রকাশ্যে
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেবছর ওই ঘটনার দিন ছিল দুর্গাপুজোর অষ্টমী। পুজোর সময়ে রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বভাবতই এলাকায় তৈরি হয় শোরগোল। সেই বিস্ফোরণে সাকিল আহমেদ এবং শোভন মণ্ডল নামে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বর্ধমান জেলা পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামলে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপর ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা এনআইএ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কার্যকলাপ-এর পাশাপাশি যুদ্ধ ঘোষণা এবং বেআইনী অস্ত্র মজুত রাখার মতো একাধিক অভিযোগ ছিল। কারণ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আরডিএক্স, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভি ডিভাইস, জিহাদী কাগজপত্র ,স্যাটেলাইট ফোন, এবং একাধিক সিমকার্ড উদ্ধার করেছিল।
শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বসেই বাংলাদেশের অশান্তির ছক কষছিল তারা। এরপর এনআইএ-র গোয়েন্দারা তদন্ত চালিয়ে সন্দেহভাজন ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন বাংলাদেশিও। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকাকরও একাধিক তথ্যপ্রমাণ মিলেছিল।