চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে, মাথায় আঘাত করে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট, চাঞ্চল্য হাওড়ায়

১০ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ার বাঁকড়া পশ্চিমপাড়া মোড়ের কাছে।

Asianet News Bangla | Published : Aug 23, 2021 1:37 PM IST

প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল হাওড়ায়। ব্যাগে করে টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে ওই ব্যক্তির চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তারপর আঘাত করা হয় তাঁর মাথায়। এরপরই ১০ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ার বাঁকড়া পশ্চিমপাড়া মোড়ের কাছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মদের দোকানের কর্মচারী বরুণ প্রামাণিক। একটি বাজারের ব্যাগে করে আজ সকাল ১১টা নাগাদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পায়ে হেঁটে জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় দু'জন বাইক আরোহী হঠাৎই তাঁর সামনে এসে রাস্তা আটকায়। তাঁকে ঘিরে ধরে। চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। তখন তিনি চোখ ধরে বসে পড়লে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই বেসামাল হয়ে পড়েন বরুণ। আর সেই সময় সুযোগ বুঝে তাঁর হাত থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর সময় ওই ব্যাগ থেকে ১ লক্ষ টাকার একটি বান্ডিল পড়ে যায়। 

তারপর ব্যাগ নিয়ে বাইকে চেপে জাতীয় সড়ক ধরে উলুবেড়িয়ার দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনাই সিসিটিভিতে বন্দি হয়ে যায়। ওই মদের দোকানের তরফে বাঁকড়া আউটপোস্টে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত নামে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- ভাইফোঁটার পর কি রাজ্যে আদৌ স্কুল খুলবে, নবান্নে জানালেন মমতা

সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, একজন স্থানীয় বাসিন্দা দুষ্কৃতীদের ইঙ্গিত করে বরুণকে চিনিয়ে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে রাস্তার পড়ে থাকা এক লক্ষ টাকার বান্ডিলও সেই ব্যক্তি তুলে নিয়ে যান। পরে বাঁকড়া আউটপোস্টের পুলিশ ওই 'টিপার' সহ দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। 

আরও পড়ুন, পদ থেকে কি সরছেন দিলীপ ঘোষ, BJP-র ৩ দিন ব্যাপী সাংগঠনিক বৈঠকে নজর সবার

আরও পড়ুন- WBCS-র প্রশ্নে 'সবুজ সাথী', 'সরকার নিজের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে', বিস্ফোরক শুভেন্দু

মদের দোকানের এক কর্মচারী পার্থ সামন্ত জানিয়েছেন, ওই টিপার প্রায়ই তাঁদের দোকানে আসতেন। প্রতিদিনই ব্যাঙ্কে টাকা দিতে যাওয়ার বিষয়টি তাঁর নজরে ছিল। তাই প্রথমেই তাঁকে সন্দেহ হয় এবং তা পুলিশকে জানানো হয়। এদিকে চিকিৎসার জন্য বরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছাড়া পান তিনি। যদিও লঙ্কা গুঁড়োর প্রভাবে তাঁর চোখে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে গত ৩০ বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি। কিন্তু, কোনওদিন এই ঘটনা ঘটেনি। ফলে আচমকা এই ঘটনা ঘটায় কিছুটা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। 

Share this article
click me!