বিরল প্রজাতির হরিণের লোম দিয়ে তৈরি শীত বস্ত্র বিক্রি, বড়বাজার থেকে গ্রেফতার ৩

বড়বাজার এলাকা থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চিরু হরিণের লোমের তৈরি ২৭টি শাল।

Web Desk - ANB | Published : Jan 18, 2022 10:34 AM IST / Updated: Jan 18 2022, 06:33 PM IST

বিরল প্রজতির হরিণের লোম (Deer Fur) দিয়ে তৈরি শীত বস্ত্র (Winter Clothes) সহ গ্রেফতার (Arrest) করা হল তিন জনকে। বড়বাজার এলাকা থেকে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চিরু হরিণের লোমের তৈরি ২৭টি শাল। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বিউরোর যৌথ অভিযানে ওই তিনকে গ্রেফতার করা হয়।  

বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্র মারফত বনবিভাগের এই দুই অপরাধ দমন শাখার কাছে তথ্য আসে যে কলকাতার বড়বাজার এলাকায় কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা বেআইনি কিছু শীত বস্ত্র বিক্রি করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আজ বড়বাজার এলাকায় যৌথ অভিযান চালায় এই দুই সংস্থা। সেখান থেকে ৩০০টির উপর শীত বস্ত্র (শাল) উদ্ধার করে বনবিভাগ। সেই বস্ত্রের মধ্যে ২৭টির মতো এখনও পর্যন্ত শাহতোষ শাল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আবদুল সামাদ শাহ, আসিফ আহমেদ, সুদর্শন কুস্বাহা নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা প্রত্যেকেই ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় এসে শীত বস্ত্র বিক্রি করত বলে সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুন- পার্ক শো সিনেমা হলে বিধ্বংসী আগুন, বন্ধ পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট

জানা গিয়েছে, এই শীত বস্ত্র মূলত টিবেটিয়ান অন্টিলোপ ওরফে চিরু হরিণের লোম থেকে তৈরি হয়। বিলুপ্ত এই প্রাণীটির দেখা মিলত প্রথমে মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে। পরে সেটিকে তিব্বতে দেখতে পাওয়া যায়। তবে তার সংখ্যা দিনে দিনে লুপ্ত হওয়ায় এই প্রাণীটিকে বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর তার লোম দিয়ে তৈরি শীত বস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই প্রাণীর লোম নরম হওয়ায় তা দিয়ে তৈরি শীত বস্ত্র খুবই হালকা এবং মসৃণ হয়। ফলে এর বাজার মূল্য ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। 

আরও পড়ুন- প্রায় ২ কেজি চরস সহ কলকাতায় পুলিশের জালে ২ মাদক পাচারকারী

তবে এই শাহতোষ শাল নিষিদ্ধ হয়ে গেলেও কাশ্মীরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই শালকে কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা উপার্জন করে। এই তিন অভিযুক্ত একই পদ্ধতিতে এই শাল গুলিকে কলকাতার বাজারে বিক্রি করছিল বলে বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বাকি শালের মধ্যে শাহতোষ শাল আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখছে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল এবং ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বিউরো।

Share this article
click me!