'শুধু নিরামিষই নয়, বিরিয়ানিও খাওয়া হয় বিজেপিতে, সময় এলেই ক্ষোভ মিটে যাবে', বলছেন দিলীপ

আজ সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপি মানেই নিরামিষ না। এর আগেই পার্টি অফিসে বিরিয়ানি পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সবাই নিরামিষ খান। তাই নিরামিষ করা হত।"

Web Desk - ANB | Published : Jan 18, 2022 4:02 AM IST / Updated: Jan 18 2022, 09:47 AM IST

বেশ টালমাটাল অবস্থা বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP)। দলের অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। তার ফলে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন দলীয় নেতার গলায় শোনা যাচ্ছে বিদ্রোহের সুর। সম্প্রতি দলের বিক্ষুদ্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সংগঠনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বনগাঁর নহাটায় পিকনিকের (Picnic) আয়োজনও করেছিলেন তিনি। সেই পিকনিকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুরও (Subrata Thakur)। এছাড়াও ছিলেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার ও রিতেশ তিওয়ারিরাও। আর সেই পিকনিক নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

আজ সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণের সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপি মানেই নিরামিষ না। এর আগেই পার্টি অফিসে বিরিয়ানি (Biriyani) পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় সবাই নিরামিষ খান। তাই নিরামিষ করা হত। তাই বিক্ষুব্ধদের মিটিং বা পিকনিকে নিরামিষ নতুন কিছু না। দলের নেতারা একসঙ্গে পিকনিক করছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন, তাতে তো অসুবিধা নেই। হতেই পারে। হ্যাঁ, জানি, নতুন কমিটি নিয়ে বেশ কিছু ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আসলে মে মাসের পর থেকেই দলের কর্মীদের উপর নানারকম অত্যাচার হয়েছে। সবমিলিয়ে মন খারাপ রয়েছে সকলের। তাই একটু মন খারাপ রয়েছে। সেটা কেটে যাবে। সময় দিলেই কেটে যাবে।"

আরও পড়ুন- ফেসবুক লাইভে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র, বাড়ালেন দলের অস্বস্তি

রবিবারই মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। এর আগেও সায়ন্তন বসু ও জয়প্রকাশ মজুমদাররা শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শনিবার সেই বৈঠক হয়েছিল কলকাতায়। আর সেই সময়ই সংগঠনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর বিক্ষুব্ধদের নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেন। আর একের পর এক দলীয় নেতাদের বেসুরো হওয়া প্রসঙ্গে শান্তনু বলেছিলেন, "বেসুরোর সংখ্যা বেশি হলে সেটাই সুর।" আর দলের অন্দরে যখন ক্ষোভের আঁচ স্পষ্ট, তখন এইভাবে ‘বিক্ষুব্ধদের’ নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  

আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে ফিকে হচ্ছে গেরুয়া শিবির, জোড়া ফুল শিবিরে নতুন সম্ভাবনা

এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক বেশি কড়াকড়ি করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দোকান বাজার বন্ধ করার পাশাপাশি একাধিক কড়াকড়ি করেছে প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ডায়মন্ড মডেল কলকাতায় প্রয়োগ হচ্ছে না কেন? এখানে করোনা বেশি। এখানে প্রয়োগ করুন। সব খুলে দেওয়া হচ্ছে। কারণ ভোট করতে হবে। করোনা নিয়ে এই সরকারের পদক্ষেপ দিশাহীন। সর্বভারতীয় স্তরে চাপ আসছে। তাই একবার করে বন্ধ হচ্ছে। আর একবার করে খুলে দেওয়া হচ্ছে।"

Read more Articles on
Share this article
click me!