
প্রায় দেড় লক্ষ টাকা লুঠ (Robbery) করেছিল তারা। আগ্নেয়াস্ত্রর পাশাপাশি পোর্টেবেল জ্যামার নিয়েও এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তিনজন দুষ্কৃতীর (Miscreants) থেকে এগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের দলটি হিন্দিভাষী রাজ্য থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার।
বুধবার বিকেলে চন্দননগর থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চন্দননগর (Chandannagar) পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চন্দননগর লক্ষীগঞ্জ বাজারে স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী একটি সংস্থায় ডাকাতি হয়েছিল। সেই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি পোর্টেবেল জ্যামার, দুটি বাইক, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি, কাটিং ও লক ব্রেকিং উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ধৃতদের থেকে ডাকাতি হওয়া দেড় লক্ষ টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ধৃতদের চন্দননগর আদালতে তোলা হলে তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন- 'লুঙ্গি পরে জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেখে কষ্ট হয়', সৌগতকে কটাক্ষ সুকান্তর
সিপি চন্দননগর বলেন, "পড়শি রাজ্যের পেশাদার গ্যাং এরা। স্বর্ণ ঋণ দানকারী সংস্থায় ডাকাতি করায় সিদ্ধহস্ত। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে চারজন দুষ্কৃতী দুটি বাইক নিয়ে এসেছিল। প্রত্যেকেই সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে যেতেই ডাকাতি করে তারা পালাতে পারেনি। তাদের সঙ্গে যাতে পুলিশ ফোনে যোগাযোগ করতে না পারে তার জন্য পোর্টেবেল জ্যামার ব্যবহার করেছিল।"
আরও পড়ুন- বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বামী মনোজিৎ, বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন শোভন বান্ধবী বৈশাখী
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বেশ কিছুদিন ধরে সিঙুরে ঘরভাড়া নিয়ে ছিল। ডাকাতির আগে জায়গাগুলি তারা পর্যবেক্ষণ করে। মঙ্গলবার চন্দনননগরের মার্কেট বন্ধ থাকে। তাই দুপুর বেলা সেই ফাঁকা সময়কে বেছে নিয়েছিল ডাকাতি করার জন্য।
একজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। একজন দুষ্কৃতী গঞ্জের বাজারে এক বাইক আরোহীকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তার বাইক কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় চুঁচুড়া থানার পুলিশ তুলোপট্টি ঘাটের কাছে তাকে ধরে ফেলে। তার কাছ থেকেও কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ২টো ৪৫ মিনিটে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। এরপরই দুষ্কৃতীদের খোঁজে ৩৯ টি পয়েন্টে নাকা তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- "মমতা ক্ষমতালোভী, একসময় এই দলে আমিও ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম", আক্রমণ শুভেন্দুর
রাস্তা, রেল, জলপথ সব জায়গায় ভোর ছটা পর্যন্ত চলে তল্লাশি। রাতে চন্দননগর থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনজন গ্রেফতার হলেও এখনও একজন পলাতক। ধৃতদের জেরা করে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। যে বাইকটি আটক করা হয়েছে তার নম্বর ধরে মালিকের খোঁজ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।