গরু-ছাগলের সঙ্গে পড়াশোনা, ৩২ বছরেও ছাদ পায়নি গোঘাটের স্কুল

  • অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে ৩২ বছর আগে
  •  এখনও খোলা আকাশের নীচে স্কুল বসে গোঘাটে
  • গরু, ছাগলের সঙ্গে  বসে স্লেট , পেন্সিল নিয়ে পড়াশোনা
  • পরিবর্তনের সরকার আসার পরও হয়নি কোনও পরিস্থিতি বদল

Asianet News Bangla | Published : Feb 10, 2020 8:05 AM IST / Updated: Feb 20 2020, 12:45 AM IST

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থাপন হয়েছে ৩২ বছর আগে। এখনও খোলা আকাশের নীচে স্কুল বসে গোঘাটের হরিশচন্দ্রপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে। গরু, ছাগলের সঙ্গে  বসে স্লেট , পেন্সিল নিয়ে চলে পড়াশোনা। পরিবর্তনের সরকার আসার পরও হয়নি কোনও পরিস্থিতি বদল।

কেজরিওয়ালের পথ ধরেই কি বিধানসভার বৈতরণী পার হতে চাইছেন মমতা

১৯৮৮ সালে ঘটা করে উদ্বোধন হয় গোঘাট ব্লকের রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র। গ্রামের শিশুদের শিক্ষা দিতে এখানেই গড়ে ওঠে হরিশচন্দ্রপুর শিশুশিক্ষা কেন্দ্র । কিন্তু ৩২বছর কেটে গেলেও আজ অবধি এই কেন্দ্রের ছাদ বলে কিছু হয়নি । এখনও ৩৪ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে পড়াশোনা চলে খোলা আকাশের নীচে । ফলে বর্ষার  মরশুম এলে অর্ধেক দিনই বন্ধ রাখতে হয় কেন্দ্র। শুধু তাই নয় , গরু , ছাগল , হাঁস, মুরগিদের সাথেই তাদের বসতে হয় । 

তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্থানীয়রা জানান, গৃহপালিতদের এটাই আসলে চরার জায়গা। শিশুদের জন্য়  মিড ডে মিলের রান্না হয় পাশ্ববর্তী এক গ্রামবাসীর উঠোনে। সেখানে এখনও কাঠ দিয়েই হয় রান্নার কাজ। ফলে সেখানকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণের মাত্রা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আইসিডিএস ,পঞ্চায়েত , বিডিও কাউকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। এ বিষয়ে  শিক্ষিকা ছবি পোড়েল জানান, নোংরা আবর্জনা ভর্তি এলাকার পাশেই পড়াতে হয় তাঁদের। 

দিল্লির জয়ে উজ্জীবিত বাংলা, সদস্য বাড়াতে কলকাতায় মিছিল আপ-এর

বারংবার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।  স্থানীয় বিধায়ক মানস মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টা জানতেন না। এতদিনেও এই অবস্থায় স্কুল পড়ে থাকার  জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। গ্রামের মানুষের আশা, বিধায়ক যখন শুনেছেন তখন হয়তো ভবন হলেও হতে পারে । আপাতত সেই আশায় বুক বাঁধছেন গ্রামবাসীরা।

Share this article
click me!