মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া- ফুচকা। নাম শুনলেই সবারই জিভে জল আসে। শুধু বাঙালি কেন, প্রায়ই সবারই জনপ্রিয় খাবার এই ফুচকা। কিন্তু তা খেয়ে এমন দুর্ভোগের শিকার হবেন কেউ কী ভাবতে পেরেছিল। পাড়ার দোকানে ফুচকা খেয়ে এমনই সমস্যায় পড়েছেন নদিয়ার নবদ্বীপ থানার এলাাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। রাতারাতি তাঁদের চিকিৎসকদের কাছে ছুটতে হয়। শুধু তাই নয়, হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নবদ্বীপ থানার, বাবলি গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর পাবনাপাড়ায়। জানাগেছে, এদিন সন্ধ্যায় গ্রামের একটি দোকানে ফুচকা খেয়েছিলেন কয়েকজন বাসিন্দা। কেউ চারটি, কেউ পাঁচটি. কেউ আবার দিদির কাছ থেকে তিনটি করে ফুটকা খেয়েছিল। আর সেই ফুচকা খাওয়ার পরই বিপত্তি।
যাঁরা ফুচকা খেয়েছিলেন এদিন রাত থেকেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। কারও শরীরে জ্বর তো কারোর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা, আবার কারো বমিও হচ্ছে। ত্রাহি ত্রাহি রব গ্রাম জুড়ে। অগত্যা উপায় না দেখে গ্রামেরই ডাক্তার কাছে রাতের বেলা দৌড়লেন অনেকে। শুধু তাই নয়, পেটের কামড়ে ধরাশায়ী অবস্থা হয় শিশুদেরও। কমপক্ষে ৪৭ জন ফুচকা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
করোনা আবহে এই ধরনের খবর পেয়ে সকালেই গ্রামে পৌঁছান স্বাস্থ্যকর্মীরা। অসুস্থদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েকজনকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকজন শিশু সহ জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয় তাঁদের। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্যই এই ঘটনা বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ভাস্বর জ্যোতি সাহা।