রাজ্যে ফের ডেঙ্গুর বলি শিশু। এবার হুগলির শ্রীরামপুরে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিল শিশুটি। মঙ্গলবার ভোরে মারা যায় সে। পরিবারের লোকেদের দাবি, ডেথ সার্টিফিকেটেও ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।
কলকাতার মতোই শ্রীরামপুরের মাহেশ এলাকায়ও থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এলাকার বহু মানুষ। মাহেশের কে এল গোস্বামী স্ট্রিটে থাকেন কানাইলাল শর্মা। গত ১২ নভেম্বরে জ্বরে আক্রান্ত হয় তাঁর মেয়ে বছর পাঁচেকে মেয়ে সুনিধি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সুনিধির রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থায় এতটাই অবনতি হয়, যে শিশুটিকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু'দিন পর তাকে স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি। এরপরই ঝুঁকি না নিয়ে সুনিধিকে পত্রপাঠ কলকাতায় পাঠিয়ে দেন ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসকরা।
গত রবিবার সুনিধিকে কলকাতায় নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। উল্টে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর, সোমবার রাতে সুনিধির শারীরিক আরও অবনতি হয়। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার ভোরে মারা যায় সে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতেই কলকাতায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে অহর্ষি ধর নামে বছর তিনেকের এক শিশু। লেকটাউনে বাসিন্দা ছিল সে। এই ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে। হাসপাতালে বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। চলতি মাসের গোড়ার দিকে আবার হাওড়াতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বছর দশেকের এক বালিকা।