বসিরহাট মহাকুমা অন্তর্গত বাদুড়িয়া থানার তারাগুনিয়া গ্রামের ঘটনা। শনিবার রাত আটটা নাগাদ ,এই গ্রামেরই বাসিন্দা এক পাঁচ বছরের শিশু নিজের বাড়ির বাথরুমে যাচ্ছিল। সেই সময় প্রতিবেশী যুবক সম্রাট দাস রাতের অন্ধকারে ওত পেতে বসে ছিল। বাথরুমে ঢোকার মুহূর্তে শিশুটিকে মুখ চেপে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষন করে বলে অভিযোগ ।
দীর্ঘক্ষণ শিশুটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখে বাড়ির পাশে বাগানে পড়ে আছে শিশুটি অচৈতন্য অবস্থায়। ঘটনার পর পুলিশ খবর দিলে শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের তরফ থেকে নিগ্রহের সত্যতা স্বীকারও করা হয়।
পরে শিশুটি জ্ঞান ফিরলে সমস্ত জানায় পরিবারকে। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিতে প্রতিবেশী যুবক সম্রাট দাসকে বাঁদুড়িয়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে রবিবার ভোররাতে গ্রাম থেকে। ধৃতকে সম্রাট দাস বসিরহাট মহকুমা আদালতে রবিবার তোলা হয়।
অন্য দিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুটি এখন শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছে।
প্রসঙ্গত শিশু নিগ্রহের ঘটনায় ২০১৪ থেকেই সারা দেশে শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ইউনিসেফের চাইল্ড অ্যাকশান প্ল্যান কাজ করছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু তাতেও তেমন ফল মেলনি। ২০১৫-১৬ সালে ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো দেখায় ছোটদের বিরুদ্ধে অন্যায় প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে যায়। দেখানো হয় ওই বছরেই ১৬৮৮১ শিশু হারিয়ে গিয়েছে। ইদানীং সেই অন্যায় আরও বাড়ছে। বাড়ছে নররাক্ষসের সংখ্যাও, যাদের শ্যেনচক্ষু একটি শিশুকেও মুক্তি দেয় না।