
ছাগল নিয়ে বচসার জেরে আক্রান্ত ৬ মাসের শিশু। ঘটনার সূত্রপাত ছাগলকে কেন্দ্র করে। বাড়ির গেট খোলা পেলেই প্রতিবেশী নাসিম আলির ছাগল ঢুকে পড়ে। উঠোতে শুকোতে দেওয়া ধান খেয়েও সাফ করে দেয় ছাগল। বেশ কয়েকদিন এমন ঘটনায় রীতিমতো তিতিবিরক্ত হচ্ছিলেন পান্ডুয়ার শিখিরা চাঁপতা পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রামের সরেন দম্পতি। ছাগল এভাবে ধান খেয়ে যাচ্ছে কিন্তু অথচ কোনও হেলদোল নেই মালিকের। বিষয়টি যে ঠিক হচ্ছে না সেটা নাসিমকে জানান বাপি সরেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
নাসিমের কয়েকটি ছাগল বাপির বাড়িতে ঢুকে ধান খেয়ে নেয়। তখন সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন নাসিমের স্ত্রী মাফুজা খাতুন। বিষয়টি দেখেও তিনি ছাগলগুলিকে তাড়াননি। আর তাতেই রেগে যান সরেন দম্পতি। তারপরই বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপরই কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মাফুজার হাতে ছাগল তাড়ানোর লাঠি ছিল সেই সময়। এবং তারপরই আচমকা বাপির উপর ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। এবং পরিস্থিতি চরমে পৌঁছতেই স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বাপির স্ত্রী আরতি। আরতি কোলে তখন ছয় মাসের সন্তান। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাফুজাও তার উপর হামলা করে। আর সেই সময়েই আরতির কোলে থাকা শিশুর আঘাত লাগে।
এই ছাগল নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চরম বচসা শুরু হয়। এবং পরিস্থিতি এতটাই চরমে পৌঁছায় যে হাতাহাতি থামানোই যায় না। ঠিক তখনই আরতির কোলের ৬ মাসের সন্তানকে ছিনিয়ে নেন মাফুজা এবং কোল থেকে নিয়েই শিশুটিকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেন মাফুজা। রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় প্রচন্ড আঘাত লাগে শিশুটির। শিশুটিকে প্রথমে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এব তারপর প্রাথমিক চিকিৎসার পরে শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন ফের শিশুটিকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকেই শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসা চলছে। শিশুর মা আরতি জানিয়েছেন, ছেলের মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। বমিও করছে। তবে আরতির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নাসিম। পান্ডুয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বচসার এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ তারা পায়নি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টির তদন্ত করবেন।