মেলায় গিয়ে রহস্যজনকভাবে খুন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, সঙ্কটজনক বন্ধু

  • মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার ঘটনা
  • মেলায় গিয়ে খুন ছাত্র
  • গুরুতর জখম মৃতের বন্ধু
  • কী কারণে হত্যা, এখনও ধন্দে পুলিশ
     

debamoy ghosh | Published : Jan 28, 2020 11:34 AM IST


বন্ধুর সঙ্গে রাতে পীর সাহেবের মেলা দেখতে গিয়ে  রহসস্যজনকভাবে খুন হয়ে গেল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মৃতের নাম মেহেবুব আলম ওরফে ইমরান (১৭)। দুষ্কৃতী হামলায় গুরুতর জখম হয় মৃতের সহপাঠী এবং বন্ধু নাইস শেখ। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হয়েছে। জখম ছাত্রের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে।

সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের  ভগবানগোলা থানার লিয়াকত নগরে দাদা পীর সাহেব মেলার পাশের একটি আম বাগানে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এ দিকে ভগবানগোলা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। শেষ  পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে কী উদ্দেশ্যে ওই ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হলো, সেটাই এখনও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে লালবাগের এসডিপিও বরুণ বৈদ্য বলেন , 'একজন ছাত্রকে কেন এভাবে খুন করা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

আরও পড়ুন- প্রেমিকা সাজিয়ে অন্য তরুণীকে খুন, বিয়ের নেশায় নৃশংস ষড়যন্ত্র

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , লালগোলা  রাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা নাইস শেখকে সঙ্গে নিয়ে  চাঁদেরপাড়া ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা ইমরান সাইকেল করে ভগবানগোলা থানার দাদা পীর সাহেবের মেলা ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানেই দুস্কৃতী হামলায় খুন হতে হয় স্থানীয় বালুটুঙ্গি হাই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ইমরানকে। ছুরি দিয়ে ওই পড়ুয়ার গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের অনুমান, বন্ধুকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় নাইস নামে আর এক কিশোর। দুস্কৃতিরা নাইসেরও গলায় এবং পেটে ছুরি মারে। 

মেলায় আসা মানুষজন দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে স্থানীয় কানাপুকুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইমরানকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অন্যদিকে নাইসের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। পরে তাঁকে  কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই বিষয়ে মৃতের দাদা আসিক শেখ বলেন , 'রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ভাইয়ের ফোন থেকে একটি ফোন আসে। তখনই আমরা ঘটনার কথা জানতে পারি। কানাপুকুর হাসপাতালে গিয়ে দেখি ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।'

কী কারণে ইমরানকে খুন হতে হলো তা নিয়ে অন্ধকারে তার পরিবারও।  মৃতের দাদার দাবি, 'নাইস ছাড়া ভাই সেভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না।ওর সঙ্গে কারও ঝামেলা ছিল বলেও জানা নেই। ফলে, কেন ওকে খুন হতে হলো তা আমরাও বুঝতে পারছি না।' পুলিশের ধারণা মৃত ছাত্রের বন্ধু কিছুটা সুস্থ হলে তার থেকেই প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে। 
 

Share this article
click me!