পেশায় গ্রামের কোয়াক চিকিৎসক বলে পরিচিত দাদার হাতে রহস্যজনক ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃসংশভাবে খুন হল নাবালিকা বোন। গুণধর দাদা ইউসুফ শেখের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ।
মুর্শিদাবাদে দাদার হাতে খুন নাবালিকা বোন (Murshidabad Murder Case)। পেশায় গ্রামের কোয়াক চিকিৎসক বলে পরিচিত দাদার হাতে রহস্যজনক ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃসংশভাবে খুন হল নাবালিকা বোন। বছর সতেরোর মৃতের নাম আলিয়া খাতুন। ঘটনায় বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুণধর দাদা ইউসুফ শেখের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
জেলার এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।' স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাসিন্দা,অভিযুক্ত ইউসুফ শেখেরা মোট ৬ ভাই ও ৩ বোন।যার মধ্যে খুন হয়ে যাওয়া আলিয়া স্থানীয় কানুপাড়া জুনিয়ার হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।সংসারে দাদা ও মা বাবার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতো আলিয়া। পরিবার সূত্রে জানা যায়,রাতের খাবার খেয়ে সকলে শুতে যায়। মৃতার বাবা ও মা ঘুমোতে যায় একটি ঘরে। আর দাদা,ভাই বোন সকলে পাশের বারান্দায় মেঝেতে বিছানা করে শুয়ে পড়ে। এই পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও বিপদ ঘটে তারপরে। এদিন মৃতার বাবা ঝুন্ট শেখ বাথরুমে যাবে বলে দরজা খুলে বারান্দায় আসতেই নজরে আসে নারকীয় ঘটনা।
চোখে পড়ে যে, রক্তে ভেসে যেতে দেখে আলিয়ার দেহ। হতবাক বাবা চিৎকার শুরু করে।আওয়াজ শুনে বাকিরা ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।দেখা যায় আলেয়ার দেহের সামনে পরে রয়েছে একটা রক্ত মাখা ভোজালি।আর তার পরেই আসে বড় ভাই ইউসুফের অনুপস্থিতি।সকলেই খবর দেয় থানায়।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিন এবিষয়ে মৃতের ছোট দাদা সৈয়ব শেখ জানান, 'বাবা মা ঘরে, আর আমরা দাদা ও বোন সকলেই বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলাম তবে হঠাৎ বাবার চিৎকার শুনে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বোন পড়ে আছে।' আর এই ঘটনার পর থেকেই বাড়িতে দেখা নেই বড় দাদার। তাই বাড়ির সকলের বিশ্বাস দাদা ইউসুফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বোনকে খুন করে পালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বছর বদলালেও থামনি নৃশংস অপরাধ মুর্শিদাবাদে। তবে এই প্রথম বার নয়, মুর্শিদাবাদে এর আগেও একাধিকবার ভয়াবহ খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। নতুন বছরের শুরুতেই পরকিয়ার জেরে গৃহবধূকে খুন হতে হয় মুর্শিদাবাদেরই মাঠপাড়া এলাকায়। এখানেই শেষ নয়, প্রমাণ লোপাট করতে খুন করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আর এবার সপ্তাহ না ঘুরতেই ফের ভয়াবহ খুন নাবালিকাকে। আর এবার মুর্শিদাবাদের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।