ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, বাথরুম, মিড-ডে মিল রান্নার ঘর.... প্রবল বিস্ফোরণে দেওয়ালে ফাটল ধরেছে সর্বত্রই। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। হুগলির চুঁচুড়ার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল সরকারি স্কুল।
গৌরহরি হরিজন বিদ্যামন্দির। চুঁচুড়ার চকবাজার এলাকার এই হিন্দি মাধ্যম স্কুলটি গঙ্গার একেবারেই লাগোয়া।বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন গঙ্গার ওপারে নৈহাটিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল, তখন স্কুলে ক্লাস চলছিল। বিস্ফোরণে প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে স্কুল বাড়িটি। আতঙ্কে স্কুল চত্বরে রীতিমতো ছোটাছুটি করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। কোনওরকমে তাদের আগলে রাখেন শিক্ষকরা। পড়ুয়াদের কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে বিস্ফোরণে স্কুলের সর্বত্রই দেওয়ালে বিপজ্জনকভাবে ফাটল ধরেছে। গৌরহরি হরিজন বিদ্যামন্দির প্রধানশিক্ষক এসবি যাদব জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত স্কুল বন্ধ থাকবে। এই স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা তেরশোরও বেশি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নৈহাটি বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত চান মুকুল, একই দাবি রাজ্যপালেরও
উল্লেখ্য , দিন কয়েক আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে নৈহাটির মামুদপুরের দেবক এলাকায়, একটি বাজি কারখানায়। বিস্ফোরণে মারা যান পাঁচজন। ওই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বাজি উদ্ধার নৈহাটি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৈহাটির ছাইঘাট এলাকায় গঙ্গার পাড়ে সেই বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ফের বিস্ফোরণ ঘটে। আশেপাশের এলাকা তো বটেই, গঙ্গার অন্য়পাড়ে হুগলি চুঁচুড়ায়ও বেশ কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হয়। ঘটনার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরও। যাঁদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।