প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেননি গৃহবধূ। সেই রাগেই তাঁকে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জে। গৃহবধূর উপরে হামলা চালানোর পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবকের সঙ্গে পেশায় আয়ার কাজ করা ওই গৃহবধূর কিছুদিন আগেই কাজের সূত্রে পরিচয় হয়। সেই সময়ই দু' জনের নম্বর আদান প্রদান হয়। এর পরেই ফোনে ওই গৃহবধূকে উত্যক্ত করতে শুরু করে অভিযুক্ত যুবক। গৃহবধূকে তিনি প্রেমের প্রস্তাবও দেন বলে অভিযোগ। তাতে না বলে দেন ওই গৃহবধূ। জানিয়ে দেন, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
এর পরে আয়ার কাজও ছেড়ে দেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু ওই যুবক তার পরেও গৃহবধূকে নজরে রাখছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পাঁচিল টপকে জিয়াগঞ্জের হাইস্কুল পাড়ায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে চপার দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে ওই যুবক। গৃহবধূর চিৎকরা শুনে ছুটে আসে তাঁর ছেলে এবং মেয়ে। তখনই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে লালগোলা মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু গৃহবধূর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সন্ধ্যায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখেই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থেই এখন তার নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না পুলিশ আধিকারিকরা।