Death Case-রহমতের মলদ্বারে হাওয়া ভরে দেয় সহকর্মীরা, মজার মাসুল দিল ২৩ বছরের জুট মিল কর্মী

জুট মিলের কর্মী রহমত। সহকর্মীরা মজা করে হাওয়া ভরে দেয় মলদ্বারে। মৃত্যু হয় ২৩ বছরের কর্মীর। ঘটনাটি ঘটছে হুগলির ভদ্রেশ্বর এলাকায়

Kasturi Kundu | Published : Nov 24, 2021 9:40 PM IST

মজা(Fun) যখন পরিণত হয় সাজায়! মজা করতে গিয়ে সেটা যখন সাজায় পরিণত হয় তখন চোখের জল ফেলা ছাড়া সত্যিই আর কোনও উপায় থাকে না। যার জীবন চলে যাওয়ার সে কিন্তু চলেই যায়। মজার মাসুল যেমন গুনতে হয় তাঁকে ঠিক তেমনই মজার সাজা ভোগ করে তাঁর পরিবার পরিজনেরা। সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটছে হুগলির ভদ্রেশ্বর এলাকায়(Hoogly)। সহকর্মীদের(Co-workers) মজার মাসুল দিতে হল এক জুট মিলের(Jute Mill) এক শ্রমিককে। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে একটি নিছক মজার ঘটনা, যদিও সেটি মোটেও কোনও নিছক মজার দৃষ্টান্ত নয়। প্রসঙ্গত, জুটমিলের সহকর্মীরা(Co-workers Of Jute Mill) মজার ছলে আরেক জুট মিল শ্রমিকের মলদ্বারে(Anus) হাওয়া ভরে দিয়েছিল(Filled with air)। সেই জুটমিলের শ্রমিকের নাম রহমত আলি(Rahamat Ali)। বয়স মাত্র ২৩ বছর(23 years Old)। চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে ওয়াইন্ডিং বিভাগে ঠিকা শ্রমিকের(Labour) কাজ করতেন বছর ২৩ -র এই যুবক। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর , সোমবার রহমত নাইট ডিউটি করতে কারখানায় গিয়েছিলেন। পর দিন ভোরে ছুটি হওয়ার পরই ঘটে যায় সেই দুর্ঘটনা। ছুটির পর সহকর্মীরা হাওয়া দেওয়ার মেশিন দিয়ে তাঁর মলদ্বারে হাওয়া ভরে দেন। এর পর বাড়ি ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রহমত।  তড়িঘড়ি তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দেননি ২৩ বছরের জুট মিল কর্মী রহমত। তাই অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর দেরি না করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবার ঘটনাটি ঘটার একদিন পরই অর্থাৎ বুধবার সেই বেসরকারি হাসপাতালেই  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রহমতের। 

আরও পড়ুন-Murder-দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে কুপিয়ে খুন,খুনের পর স্নান করে অস্ত্র পরিস্কার প্রতিবেশী যুবকের

আরও পড়ুন-'মৃত মানুষকে নিয়ে নাটক করছে BJP', ভবানীপুরে প্রচারে এসে বিস্ফোরক ফিরহাদ

রহমতের ভাই আজমত আলি বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন মলদ্বারে হাওয়া ভরার দরুণই মৃত্যু হয়েছে রহমতের। হাওয়ার চাপে যকৃৎ দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আর শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে বুধবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাঁর দাদা রহমত, যিনি পেশায় ছিলেন জুটমিলের এক সাধারণ শ্রমিক। তাঁর ভাই আরও জানান, সহকর্মী শাহাজাদা খান এবং আরও কয়েক জন দাদার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ক্ষতিপূরণ চেয়েছে রহমতের ভাই।  ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, রহমতের বিষয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। তাঁদের জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন সময় অনেকের সঙ্গে এমন ধরনের বেশ কিছু ইয়ার্কি বা মজা করা হয়ে থাকে যা হয়তো অন্যজনের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আইনত ভাবে এই ধরনের মজাকে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। তবুও প্রান দিয়ে সেই রকমই এক মজার মাসুল দিতে হল ২৩ বছরের একটি তাজা প্রানকে। 

Share this article
click me!