প্রেমিকের বিরুদ্ধে ভিডিও রেকর্ডিং এর জবানবন্দি দিয়ে , সুইসাইড নোট সহ সমাজ ও প্রশাসনের কাছ থেকে ন্যায়বিচার চেয়ে আত্মঘাতী হলো প্রেমিকা।
স্বপ্ন ছিল প্রেমিক (Loveer) ও তার বাড়ির লোকের সম্মতি মত শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে সুখে শান্তিতে ঘর করা গ্রামের যুবতীর। সেইমতো ঠিকঠাক চলছিল সব কিছু। কিন্তু আচমকাই এক ঝটকাই বদলে গেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল গেল প্রেমিক। ভুলে যায় যাবতীয় প্রতিশ্রুতি। তাতেই হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তরুণ। অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার পরিবারের লোকজন প্রেমিকাকে মেনে নিতে অস্বীকার করায় চরম অপমানে আত্মঘাতী (Suicide) হলো যুবতী (Youth Woman)। তবে আর পাঁচটা সাধারণ গ্রামের মেয়ের মত নিজের প্রাণ দিয়েই ক্ষান্ত থাকলো না যুবতী জেসমিনা খাতুন। রীতিমতো মৃত্যুর আগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে যান প্রেমিককে।
প্রেমিকের বিরুদ্ধে ভিডিও রেকর্ডিং এর জবানবন্দি দিয়ে , সুইসাইড নোট সহ সমাজ ও প্রশাসনের কাছ থেকে ন্যায়বিচার চেয়ে আত্মঘাতী হলো প্রেমিকা। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হুকাহারা এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যার শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রেমিক সায়ন শেখ পলাতক।তার খোঁজে বিভিন্ন নাকা পয়েন্ট থেকে শুরু করে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।মৃতার বাবা সুন্নাত শেখ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক সায়ন শেখ নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
Free Ration: আরও চার মাস বিনামূল্যে রেশন, মার্চ পর্যন্ত গরীব কল্যাণ যোজনার মেয়াদ বাড়ল কেন্দ্র
Shocking: ডিজ-র আওয়াজে ৬৩টি মুরগির মৃত্যু, অভিযোগ খামার মালিকের
Murder: প্রেমের প্রস্তাবে 'না', এক কোপে ধড় ও মুণ্ড আলাদা করে দিল 'খুনি' প্রেমিক
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক জেসমিনের বাবা বছর দুয়েক আগে কাজের সূত্রে পরিবার নিয়ে দিল্লিতে জান। সেখানেই স্থানীয় মুর্শিদাবাদের কুচিয়ামোড়া গ্রামে থেকে দিল্লিতে কাজে যাওয়া যুবক সাহিন সেখের সঙ্গে পরিচয় হয় জেসমিনার। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়তে থাকে এমনকি সায়ন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে বলেও ভিডিও রেকর্ডিং এ মৃত্যুর আগে দাবি করে জেসমিনা।
এর পরেই সম্প্রতি গ্রামে ফিরে আসে জেসমিনের পরিবার। তারপরেই শুরু হয় সমস্যা। অভিযোগ, গ্রামে ফিরে আসার পরে সায়ন শেখ ও তার পরিবার ভোল বদলে ফেলে। জেসমিনা কে এড়িয়ে চলতে শুরু করে সায়ন ও তার পরিবার। এমনকি বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপরেই মনমরা হয়ে যায় জেসমিনা তার বাবা জানান। এমনকি ইতিপূর্বে একবার আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিল সে যদিও পরিবারের সাহায্যে কোনরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল জেসমিনা। এবার সকলের চোখের আড়ালে গিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার আগে নিজের মৃত্যুর জন্য সায়ন কে অভিযুক্ত করে প্রথমে ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে তারপরে ঘরের সিলিং এর ফাঁসি লাগিয়ে গলায় আত্মঘাতী হয় ওই যুবতী। দীর্ঘক্ষন ডাকাডাকি করেও তার খোঁজ না মেলায় দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কার্যত জেসমিনের ন্যায়-বিচারের দিকে চেয়ে রয়েছে তার হতভাগ্য বাবা ও গোটা পরিবার।