ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কষ্ট করে আর ছিনতাইবাজকে ধরতে হল না জনতার। কারণ পালাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার জেরে ছিটকে পড়ে দুই ছিনতাইকারী। তাদের মধ্যে একজন পালাতে সক্ষম হলেও অন্যজনকে ধরে ফেলে জনতা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদীঘি থানার নাকোল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ।
গুরুতর আহত ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে করণদীঘি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। আহত ছিনতাইকারীর নাম দেব কুমার, বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার বারসই থানা এলাকার বালিয়া গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করণদীঘি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার কলেজপাড়ার বাসিন্দা পাইকারি ওষুধের ব্যবসায়ী উৎপল মুখোপাধ্যায় করনদীঘির বিভিন্ন ওষুধের দোকানে বকেয়া পাওনা টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাকোল এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে
দু' টি মোটর সাইকেল নিয়ে তাঁর পথ আগলে দাড়ায় চার দুস্কৃতী। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে উৎপলবাবুর কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে বিহারের দিকে পালিয়ে যায় তারা।
ছিনতাই করে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীর মোটরবাইকের সঙ্গে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত হয় এক ছিনতাইকারী ও অন্য মোটরবাইকটির আরোহী। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারাই ছিনতাইকারীর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আহতদের করনদীঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে করণদীঘি থানার পুলিশ। যদিও ওষুধ ব্যবসায়ী উৎপল মুখোপাধ্যায়ের ছিনতাই হওয়া টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় আহত ছিনতাইকারীর সঙ্গীরা। আহত ছিনতাইকারীকে জেরা করে তার সঙ্গীদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।