জঙ্গি তৈরি হওয়ার পিছনে বার বার অশিক্ষা আর দারিদ্রকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রব্য়বস্থা। যদিও বহুবারই দেখা যায়,শিক্ষিতদের অনেকেই জঙ্গি খাতায় নাম লেখায়। বাংলায়
জেএমবি প্রধানের ক্ষেত্রেও তার ব্য়তিক্রম হল না। জঙ্গি হওয়ার আগে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিল ইজাজ আহমেদ।
অনেকদিন ধরেই খোঁজ চলছিল। শেষমেশ বিহারের বুনিয়াদপুর থকে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছে ভারতে জামাত-উল-মুজাহিদিনের মূল নিয়োগকারী ইজাজ আহমেদ। সূত্রের খবর,ইজাজের কাছ থেকে বিস্ফোরক ছাড়াও একটি স্য়াটেলাইট ফোনও পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্য়েই তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাখার আইনে মামলা করা হয়েছে। ইজাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ও ১৩০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এসটিফের প্রাথমিক জেরায় জানা গেছে, বাংলায় জেএমবির মাথা ছিল ইজাজ। জঙ্গি সংগঠনে ইজাজকে আমির বলেও চিনত অনেকে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় তাকে। বাংলা থেকে পালিয়ে গিয়ে বিহারে আশ্রয় নিয়েছিল জেএমবি বাংলার এই প্রধান। কৌসরের পর ইজাজই সংগঠনের দায়িত্বে ছিল। বাংলা তথা ভারতে ইজাজের মাধ্যমে নতুন করে শক্তিশালী হচ্ছিল জেএমবি।
আরও পড়ুন :কখনও মারাদোনা, কখনও মা লক্ষ্মী, বহরূপী অভিজিতের একই অঙ্গে অনেক রূপ
আরও পড়ুন : স্ত্রীর উপরে সন্দেহের জের, মাথা কেটে নিয়ে সোজা থানায় স্বামী
জানা গেছে, ২০০৮ সালে জঙ্গি পথে হাতেখড়ি ইজাজ আহমেদের। এখন তার বয়স ৩০। তিরিশের মধ্য়েই জামাত উল মুজাহিদিনের প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিনের ভরসা জিততে পেরেছিল এই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। মূলত, বাংলাদেশ হয়ে ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে বিস্ফোরক তৈরি দিয়েই কাজ শুরু করেছিল ইজাজ। কদিন আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্ট সতর্ক করে দিয়েছে সরকারকে। সূত্রের খবর,রিপোর্টে গোয়েন্দারা জানিয়েছে। ভারতের ওপর হামলা করতে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্য়ে নিজেদের জাল বিস্তার করতে চাইছে এই জঙ্গিরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরায় হামলা চালাতে চাইছে জেএমবির জঙ্গিরা। নিজেদের মুখপত্র আল এহসার-এ এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জামাত উল মুজাহিদিনের প্রধান সালাউদ্দিন সালাহিন।
আরও পড়ুন :অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে পকেটমারদের দাপট, বাবুল-সহ দুই মন্ত্রীর মোবাইল চুরি
আরও পড়ুন :আমি খুন শুরু করলে বংশ লোপাট করে দেব, ফের বেফাঁস দিলীপ