রবিবার ভোর থেকেই এক কিশোরী খুন নিয়ে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর
চোপরার সকাল থেকেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
অবরোধ তোলাতে গিয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালো পুলিশ
চলল বোমা, গুলি, কাঁদানে গ্য়াসের গোলা, বাসে বাসে অগ্নিসংযোগ
রায়গঞ্জ, কৌশিক সেন: সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্তচ ছিল উত্তর দিনাজ পুরের চোপড়া এলাকা। মেয়েটিকে একদল দুস্কৃতী ধর্ষণ করে হত্যা করেছে, এই দাবি করে এদিন সকাল থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা, চোপড়া-য় রাজ্য সড়ক ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে সেই অবরোধ তুলতে যেতেই একেবারে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি।
জনতার সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশ কর্মীরা। প্রথমে ভালোভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। বসলামপুর গ্রাম, অর্থাৎ যে গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার বাসিন্দারা সাফ জানিয়ে দেন, এই ঘটনায় দোষী কারা তা একেবারেইস্পষ্ট। কাজেই তাদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত পথ অবরোধ চলবেই। এদিকে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় প্রচুর সরকারি-বেসরকারি বাস ও পণ্য পরিবাহী ট্রাক সেখানে আটকে পড়ে।
এরপরই পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে হিতে বিপরীত হয়। পুলিশকে উল্টে বাঁশ-লাঠি-ইঁট পাথর নিয়ে আক্রমণ করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশকে লক্ষ করে তুমুল ইঁট বর্ষণ করতে দেখা গিয়েছে। পুলিশের অভিযোগ গুলি-বোমাও ছোড়া হয়। জমতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোড়ে পুলিশ। রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নিলেও, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ও ট্রাকে বাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শনিবার রাতেই ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুস্কৃতীরা। তারপর থেকে তাক খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন সকালে গ্রামের এক প্রান্তে তার মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়। পরে পুলিশ এসে ওই কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সাইকেল, একটি ছাতা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।