হোলির রং ওঠাতে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু যুবকের, উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ আরও ১

হোলির রং ওঠাতে নদীর জলে নামতেই তলিয়ে মৃত্যু হল যুবকের।  দিকে ওই যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও ১ জন।  খবর পৌছতেই হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।  

Web Desk - ANB | Published : Mar 19, 2022 11:11 AM IST / Updated: Mar 19 2022, 04:43 PM IST

হোলির (Holi 2022) রং ওঠাতে নদীর জলে (Kangsabati River) নামতেই তলিয়ে মৃত্যু হল যুবকের। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে দোল খেলার পর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ত্রিলোচন নামের এক যুবক মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে থাকা কংসাবতী নদীর ঘাটে গিয়েছিলেন। মূলত দোলের রং তোলার জন্য সে নদী ঘাটে যায়। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হুল্লোড় করে স্নান করতে নেমেছিল সে। এধিকে স্নান করার পরে সকলে নদী থেকে সকলেই নদী থেকে উঠলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।  এদিকে ওই যুবককে উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও ১ জন।  খবর পৌছতেই হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তবে ডুবুরিরা জলে নামলেও শেষ রক্ষা হয়নি। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনভর হোলি খেলার পর সেই হোলির রং ওঠাতে নদীর জলে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে একসঙ্গে স্নান করতে গিয়েছিল যুবক। তখনই কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ। ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা সহ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর উদ্ধারের চেষ্টা করে। যতক্ষণে উদ্ধার হয় ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল তার। উদ্ধার করতে গিয়ে আশঙ্কাজনক আরও এক। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন গান্ধী ঘাট এলাকায়। মৃত যুবক মেদিনীপুর শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা বছর একুশের যুবক  ত্রিলোচন গুইন। শনিবার সকাল থেকে দোল খেলার পর বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ত্রিলোচন মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে থাকা কংসাবতী নদীর ঘাটে গিয়েছিলেন দোলের রং তোলার জন্য। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হুল্লোড় করে স্নান করতে নেমেছিল সে। স্নান করার পরে সকলে নদী থেকে সকলেই নদী থেকে উঠলেও ত্রিলোচনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্ধু বান্ধবরা খোঁজার সাথে সাথে পুলিশে খবর দেয়। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর ডুবুরি সহ একটি দল খোঁজা শুরু করে তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ পর জলের তলা থেকে নিখোঁজ ত্রিলোচন এর দেহ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন', ইসকন ইস্যুতে তোপ দিলীপের, বাংলাপক্ষ নিয়েও বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে তাকে উদ্ধারের নামে ত্রিলোচন এর এক বন্ধু যথেষ্ট অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। ঘটনার পর মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন,'এই এলাকায় বোর্ড দেওয়া রয়েছে নিষেধাজ্ঞার জন্য। বারবার বারণ করা হচ্ছে এই নদীর জলে স্নান করতে না নামার জন্য। পুলিশের নজরদারি থাকে তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে অনেকে স্নান করতে নেমে এই বিপদ ঘটাচ্ছে।'

Share this article
click me!