লকডাউনে 'ভরসা' গণেশ, পুলিশকর্মীদের চা খাইয়ে তৃপ্তি পান রায়গঞ্জের যুবক

Published : Apr 26, 2020, 10:40 PM ISTUpdated : Apr 28, 2020, 02:58 PM IST
লকডাউনে 'ভরসা' গণেশ, পুলিশকর্মীদের চা খাইয়ে তৃপ্তি পান রায়গঞ্জের যুবক

সংক্ষিপ্ত

  লকডাউনে ঝাপ বন্ধ দোকানের পুলিশকর্মীদের 'ত্রাতা' গণেশ সন্ধেবেলায় চা-বিস্কুট হাজির হন তিনি গলা ভিজিয়ে নেন উর্দিধারীরা

আমার খাবোনা চা, চা খাবোনা আমরা.... ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমন নয়। বরং উল্টোটাই।  ভরসন্ধেবেলায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাঁরা গলা ভেজান, তাঁরা কেউই শখ করে বাড়ির বাইরে বেরোননি। শুধুমাত্র কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদেরই চা খাওয়ান রায়গঞ্জের গণেশ সাহা। সঙ্গে বিস্কুটও। তাও আবার বিনাপয়সায়।

আরও পড়ুন: দ্রুত কমছে গর্ভজাত সন্তানের হার্টবিট, এরপর অলৌকিক কাহিনি লিখলেন ডাক্তার কৌশিক চৌধুরী

রায়গঞ্জে রেলগুমটি এলাকায় বাড়ি গণেশের। বাড়ির কাছে একটি ভাতের হোটেল চালান তিনি। লকডাউনের জেরে এখন হোটেল বন্ধ। ঘরবন্দি জীবনে অখণ্ড অবসর। জানলার বাইরে রাস্তা। ঘরে বসেই দেখতে পেতেন, শুনসান রাস্তায় পাহারা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু একটানা ডিউটি করার পর যখন ক্লান্তি আসে, তখন চা খাওয়ারও উপায় নেই। প্রশাসনের নির্দেশে একটি দোকানও যে খোলা নেই! গণেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, আর কিছু করতে না পারেন, অন্তত পুলিশকর্মীদের জন্য চা-বিস্কুটের ব্য়বস্থা করবেন। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। 

আরও পড়ুন: পরাণমুখ সবুজ-নালি ঘাসে ঢাকা পড়েনি মানবিকতা, লকডাউনে এক অন্য কাহিনি লিখছে গলফগ্রিন

প্রতিদিন সন্ধেবেলায় একেবারে ঘড়ি ধরে চায়ের কেটলি, কাপ ও বয়ামে বিস্কুটি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন গণেশ। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাপে চা ঢেলে দেন। প্রথম প্রথম পুলিশকর্মীরা টাকা দিতে চাইতেন, কিন্তু গণেশ নেননি। তিনি বলেন,  'প্রতিদিনই ওঁদের কাজ করতে দেখি। চায়ের দোকান বন্ধ। তাই বিকেলে গলা ভেজানোর জন্য আমি নিজে চা নিয়ে আসি। কাপে চুমুক দিয়ে ওঁরা যে তৃপ্তি পান, সেটাই আমার প্রাপ্তি।' কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়ে আপ্লুচ পুলিশকর্মীরাও।

PREV
click me!

Recommended Stories

সৌমিকদের গ্রেফতারি তাহলে কেন ছাড় প্যাটিস বিক্রেতাকে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু
চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে গ্রেফতার সৌমিক গোলদার, কী প্রতিক্রিয়া সুকান্তর?