২৫ মে শুভেন্দ অধিকারী প্রথম ব্যারাকপুরে সভা করবেন। যদিও তার পাঁচ দিন আগে শ্যামনগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা করবেন। যা এখনও স্থির হয়ে রয়েছে। এই সভাতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অর্জুন সিং-এর।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন তাঁর একদা সহকর্মী অর্জুন সিং। তাঁর ছেড়ে যাওয়ার রাজপাটের দায়িত্বে এবার এসে পড়ল নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধে। ব্যারাকপুরে বিজেপির সাংগঠনিক দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শুভেন্দ। সোমবার বিজেপির রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব নিয়েই শুভেন্দু জানিয়েছেন তিনি অর্জুন সিং-এর এলাকায় একাধিক রাজনৈতিক সভা করবেন।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ব্যারাকপুরে শুভেন্দ প্রথম সভা করছে আগামী ২৫ মে। সূত্রের খবর ব্যারাকপুরে বিজেপির সাংগঠনিক রুপরেখাও শুভেন্দু নতুন করে তৈরি করবেন। আগামিকাল তিনি স্থানী. বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।
সূত্রে খবর বিজেপির তরফে আগামী ২৫ মে শুভেন্দ অধিকারী প্রথম ব্যারাকপুরে সভা করবেন। যদিও তার পাঁচ দিন আগে শ্যামনগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভা করবেন। যা এখনও স্থির হয়ে রয়েছে। এই সভাতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অর্জুন সিং-এর। শোনা যাচ্ছে এই সভাতেই অভিষেকের হাত দরে তৃণমূলে ফিরে আসতে পারেন অর্জুন পুত্র পবন সিং। সেইজন্য তৃণমূলের সভার পাঁচ দিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী ব্যারাকপুরে জনসভা করবেন বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যারাকপুরের দায়িত্ব শুভেন্দুকে দেওয়া হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের সিলমহর পড়েনি। তবে খুব দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্ব কথা বলবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে শুভেন্দুকে ব্যারাকপুরের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ অনেকেই বলছেন অর্জুন সিংএর দাপটের সঙ্গে লড়াই করার মত তেমন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিতে নেই। শুভেন্দু অধিকারি পারবেন অর্জুন সিংকে টক্কর দিতে। তাই তাঁকেই এই দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। যা সমর্থন করেছেন দিলীপ ঘোষও।
রবিবার দল বদলের পর অর্জুন সিং বিজেপির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। তার মধ্যে গুরুত্ব অভিযোগ হল , তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা নিজেদের সমস্যা বা পরিকল্পনার কথা বলতে পারছেন না। তবে অর্জুন সিংএর এই দল বদল নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বতে- যে সাংসদদের মধ্যেই তাহলে দল বদলের প্রবণতা তৈরি হয়েছে।