ক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পর অর্জুন সিং-এর দল বদলের পর বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে নেমে ১৬তে দাঁড়িয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রীতিমত চমক দিয়ে এই রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পালে হাওয়াও ছিল। দল বদল করে অনেকেই বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
দল বদল করে অর্জুন সিং যখন একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন তখন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও পাল্টা সরব হলেন। অর্জুনের দল বদলের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই ব্যারাকপুরের সাংসদ তাঁর পুরনো দলে ফিরে যান। তিনি বলেন, 'যাঁরা একটা সময় পুলিশ নিয়ে রাজনীতি করেছেন তাঁদের পক্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজনীতি করা একটু কঠিন। অর্জুন সিংএর একাধিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক চাপ সহ্য আর কঠিন হয়ে পড়ছিল। তাই অর্জুন দল বদল করেছেন।' দিলীপ ঘোষ আরও বলেন পাট শিল্প একটি বাহান। অর্জুন আসলে প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই দল বদল করেছেন। তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দল বদল একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি যখন এসেছিলেন তাঁকে স্বাগত জানান হয়েছিল। এখন টাকা টাটা বলা হচ্ছে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই পাট শিল্প নিয়ে অর্জুন সিং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁকে শান্ত করছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও কথা বলেছিলেন। অর্জুনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন জেপি নাড্ডাও। কিন্তু কোনও কথাই গুরুত্ব দেননি অর্জুন। এদিন তাঁর দল বদলের পর দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন , অর্জুন তো দল বদল করে তৃণমূলে গেলেন এবার কী তাহলে পাট শিল্প বাঁচবে তো? দিলীপ বলেন কেন্দ্রীয় সরকার পাট শিল্প বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। বিজেপি সরকার ১০০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়েছে।
অন্যদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র পর অর্জুন সিং-এর দল বদলের পর বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে নেমে ১৬তে দাঁড়িয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রীতিমত চমক দিয়ে এই রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পালে হাওয়াও ছিল। দল বদল করে অনেকেই বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। দল বদলের ধাক্কায় রীতিমত ধরাসায়ী গেরুয়া শিবির। বিধায়ক সংখ্যাও য়েমন কমছে তেমন পাল্লা দিয়ে কমছে সাংসদ সংখ্যা।
এদিন দল বদলের পর অর্জুন সিং বিজেপির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন। তার মধ্যে গুরুত্ব অভিযোগ হল , তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের তেমনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা নিজেদের সমস্যা বা পরিকল্পনার কথা বলতে পারছেন না। তবে অর্জুন সিংএর এই দল বদল নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বতে- যে সাংসদদের মধ্যেই তাহলে দল বদলের প্রবণতা তৈরি হয়েছে।