গত ৩০ ডিসেম্বর জামিন পেয়েছেন পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাস। জামিন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে এসেছিলেন শেখর ও শুভ্রজিৎ। নিজেদের প্রেমকেই আবারও ফিরে পেতে চাইছেন রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাস। তবে শুধু ফিরে পাওয়াই নয় বরং ফিরে পেয়ে পরিণতি দেওয়ারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তারা। শেখর ও শুভ্রজিৎ জানিয়েছেন, অনন্যা ও রিয়া দুজনকেই তারা এখনও ভালবাসে। তবে ওই গৃহবধূরা চাইলে তারা সংসার পাততে রাজি । তবে পুরোটাই আইনত ভাবে তারা সারতে চাইছেন।
রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বালির দুই গৃহবধূ (Bally Missing wives Case)। এই ঘটনা সকলেরই জানা। বালির দুই গৃহবধূ এবং এক শিশুকে অপহরণের মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর জামিন পেয়েছেন পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাস। জামিন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে এসেছিলেন শেখর ও শুভ্রজিৎ (Extra Marital Affair with Mason)। এবং আদালত চত্ত্বরে দাঁড়িয়েই তারা বলেন রাজমিস্ত্রি বলে কি আমরা মানুষ নই। আমাদের কি মন নেই , আমরাও তো ভালবাসতে পারি।
নিজেদের প্রেমকেই আবারও ফিরে পেতে চাইছেন রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাস। তবে শুধু ফিরে পাওয়াই নয় বরং ফিরে পেয়ে পরিণতি দেওয়ারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তারা। শেখর ও শুভ্রজিৎ জানিয়েছেন, অনন্যা ও রিয়া দুজনকেই তারা এখনও ভালবাসে। তবে ওই গৃহবধূরা চাইলে তারা সংসার পাততে রাজি । তবে পুরোটাই আইনত ভাবে তারা সারতে চাইছেন। রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাসের এই বয়ানের পরই ফের জল্পনার শুরু হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর নিজের সন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বালির নিশ্চিন্দা থানার কর্মকার পরিবারের বধূ রিয়া এবং তার সঙ্গে ছিলেন জা অনন্যা। বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর জানা যায় পুলিশ সূত্রে জানা যায় বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গেই সংসার ছেড়ে মুম্বই পাড়ি দিয়েছেন বালির দুই গৃহবধূ।
বালির গৃহবধূর সঙ্গে রাজমিস্ত্রির প্রেম নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। শেষমেষ আসানসোল দুই গৃহবধূকে স্টেশন থেকে আটক করে পুলিশ। এবং পরবর্তীকালে রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিয়া ও অনন্যাকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি তাদের। শেষমেষ তারা বাপের বাড়িতে ওঠেন রিয়া ও অনন্যা। অন্যদিকে রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাসের আইনজীবী শীর্ষ চট্টোপাধ্যায় জানান, বালির দুই গৃহবধূ স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন। এবং পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজমিস্ত্রিদের জামিন দেওয়া হয়। দুজনের বিরুদ্ধেই অপহরণের মামলা করা হয়েছিল। রিয়া ও অনন্যা স্বেচ্ছায় যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। জামিন পাওয়ার পর রিয়া ও অন্যনাকে আইনের সমস্ত কিছু মেনে বিয়ে করতে চাইছেন শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ দাস। এবং বিয়ে করে নতুন করে সংসার পাততে চাইছেন তারা। তবে প্রেমিক শেখর রায় এবং শুভ্রজিৎ রায়ের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন কিনা রিয়া ও অনন্যা তা এখনও জানা যায়নি।