বিক্ষোভও চলছে, সঙ্গে চলছে পরিষেবাও। কর্মবিরতির জেরে আম জনতার ভোগান্তি কমাতে এভাবেই এগিয়ে এলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজেদের বিক্ষোভ মঞ্চেই কার্যত আউটডোর পরিষেবা শুরু করে দিলেন তাঁরা।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের সুপারের ঘরের সামনেই গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আউটডোর পরিষেবাও বন্ধ করে রেখেছিলেন তাঁরা। ফলে রোজই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পেয়ে হয়রান হচ্ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। শেষ পর্যন্ত এ দিন সকাল থেকে সুপারের রুমের সামনেই আউটডোর পরিষেবা চালু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা শুরু হয় এখানেই। কেউ টেবিল পেতে, আবার কোনও জুনিয়র চিকিৎসক মেঝেতে বসেই রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন। জুনিয়র চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন বেশ কিছু সিনিয়র চিকিৎসক।
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলির মতো বাঁকুড়াতেও চিকিৎসা পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ইন্ডোর বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। কাজের চাপ সামলাতে না পেরে শনিবার বিকেলে সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ গণইস্তফা দিয়েছেন। যে কারণে ইন্ডোর বিভাগেও চাপ বাড়ে।
এ দিনও অবশ্য হাসপাতালের আউটডোর বিভাগ চালু হয়নি। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিক্ষোভ স্থলেই রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন রোগীরা। চিকিৎসকরা যে শেষ পর্যন্ত তাঁদের সমস্যার কথা বুঝতে পেরেছেন, তাতেই খুশি রোগী এবং তাঁদের পরিজনরা। তাঁদের আশা, চিকিৎসকরা নমনীয় হওয়ায় এবার ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।