কথিত আছে, কাশিপুরের রাজার মেয়ে ছিলেন ভদ্রাবতী বা ভাদু। খুব কম বয়সে ভাদুর মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুর শোকেই ভাদু পরব শুরু করা হয়েছিল।
মানভূমের ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতি ভাদু পরবের দিন মানভূমের লোকগান ও ভাদুর উপর দেওয়া হল ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট। পরবর্তী কোর্সের পঠন-পাঠনও শুরু হল আজ থেকে। খুশি জেলাবাসী।
পুরুলিয়া তথা তৎকালীন মানভূমের কাশিপুরের রাজবাড়ী থেকে শুরু হয়েছিল ভাদু উৎসবের সূচনা। কথিত আছে, কাশিপুরের রাজার মেয়ে ছিলেন ভদ্রাবতী বা ভাদু। খুব কম বয়সে ভাদুর মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুর শোকেই ভাদু পরব শুরু করা হয়েছিল। সেই ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে কাশিপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ে শুরু করা হয় মানভূমের লোকগান ও ভাদুর উপর ডিপ্লোমা কোর্সের পঠন-পাঠন। ভাদু পরবের দিনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিপ্লোমা কোর্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হল সার্টিফিকেট। আজ থেকে আবার শুরু করা হল পরবর্তী কোর্সের পঠন পাঠন।
কাশিপুর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ বিভাস কান্তি মণ্ডল বলেন, "ভাদুর জাগরণ উপলক্ষ্যে আমাদের মহাবিদ্যালয়ে মানভূমের লোকগান ও ভাদু নামক ডিপ্লোমা কোর্সের উপর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেই সঙ্গে এই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের উপর লোকগান ও ভদুর উপর ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।"
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা
আরও পড়ুন- অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় তৎপরতা, ড্রোন উড়িয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পুলিশের
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাদু ডিপ্লোমা কোর্সের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা। এছাড়াও ছিলেন সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ডঃ সুবল চন্দ্র দে। তিনি বলেন, "আমারা মানভূমের ঐতিহ্য ও চেতনাকে সঙ্গে নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই। সেকারণেই আমরা এই জাতীয় কোর্স শুরু করেছি এবং আজকের এই পুন্য দিনে যেমন ডিপ্লোমা কোর্সের প্রথম বর্ষের সার্টিফিকেট দেওয়া হল ঠিক তেমনই পরবর্তী কোর্সেরও ভর্তিও আজ থেকে শুরু হল। আমার আশা করব মানভূমের এই আবেগ আরও বর্ধিত হবে। আর আমাদের এই বিশেষ কোর্সটি সাফল্য লাভ করবে।"