টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা

Published : Sep 17, 2021, 09:09 PM ISTUpdated : Sep 18, 2021, 12:58 AM IST
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা

সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার থেকে ঘাটাল পৌরসভা এলাকাও শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের ১২ টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফের প্লাবিত ঘাটাল। শিলাবতী নদীর জল বেড়ে ঘাটাল শহর ছাড়াও বহু এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। ঝুমী নদীর জল বেড়ে বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। জল বেড়ে যাওয়ার ফলে নদীর উপর থাকা কাঠ ও বাঁশের সাঁকো ডুবে গিয়েছে। এর ফলে নৌকায় করে শুরু হয়েছে যাতায়াত।

এক মাস আগে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এই এলাকায়। সেই ক্ষত এখনও তাজা রয়েছে স্থানীয়দের মনে। ঝুমী নদীর জলের তোড়ে একাধিক কাঠের সাঁকো ভেঙে গিয়েছিল। তার ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন মনসুকা গ্রামের বাসিন্দারা। তাই যাতায়াতের জন্য জল কমতেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে ফের ওই নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে তৈরি করা বাঁশ ও কাঠের সাঁকো ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। ফলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই নৌকা করেই পাড় হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। 

অন্যদিকে, চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ টি গ্রামের কৃষকরা ফের সমস্যায় পড়েছেন। নদীর জলে ডুবেছে একাধিক জমি। গ্রামবাসীদের দাবি, সেচ দফতরের গাফিলতির ফলেই এই কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গত এক মাস আগে শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের খামারবেড়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। 

আরও পড়ুন- কয়লাকাণ্ডে ইডির সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা, দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন অভিষেক-রুজিরার

আরও পড়ুন- অর্জুনের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনায় তৎপরতা, ড্রোন উড়িয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পুলিশের

জল কমতেই ব্লক প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেই বাঁধ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মেরামত করা শুরু হয়। এদিকে মাঝপথে সেই কাজের দায়িত্ব নেয় সেচ দফতরের আধিকারিকরা। অভিযোগ, সেচ দফতর সেই কাজ শুরু করতে বেশ অনেকদিন সময় লাগিয়ে দিয়েছিল। এমনকী, কাজও খুব ধীর গতিতে হচ্ছিল। আর সেই কাজ চলাকালীন হঠাৎ করেই নিম্নচাপের জেরে শুরু হয় বৃষ্টি। তার জেরে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে থমকে গেল খামারেড়িয়া এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ। আর সেই ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল প্রবেশ করে মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁপুর, গাঁচা, পাইকপাড়া, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সেচ দফতরের গাফিলতির জেরেই এই অবস্থা। বেশ কয়েকবার বন্যায় ফসলের ক্ষতি হলেও মেলেনি কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  সূর্যকান্ত দোলই। 

আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন ঘাটাল, সড়কপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা

এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে ঘাটাল পৌরসভা এলাকাও শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। ঘাটাল পৌরসভা এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের ১২ টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের মধ্যে নৌকায় করে শুরু হয়েছে যাতায়াত। 

PREV
click me!

Recommended Stories

"মমতা কিছুই করেননি, মোদীজি যা করেছেন তা ভালো": বন্দে মাতরম নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র
'যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত এই ভোগান্তির জন্য', ইন্ডিগোর বিপর্যয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার