কেরলে ঢুকেছে মৌসুমী বায়ু। কেরলের দক্ষিণ অংশে বৃহস্পতিবারই প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বাংলায় খুব দ্রুত বর্ষার আগমন ঘটবে। সম্ভবত জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গোমড়া হতে পারে বাংলার আকাশের মুখ। ভ্যাপসা গরম কাটাতে পারে মৌসুমী বায়ুর দামাল হাওয়া। সাধারণত কেরলে বর্ষা ঢোকে পয়লা জুন। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশে বর্ষার আগমন ঘটেছে বলে দাবি আবহাওয়াবিদদের।
আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহবিদরা জানাচ্ছেন কেরলে মৌসুমী বায়ু যথাসময়ে প্রবেশ করলেও বর্ষা এবার রাজ্যে আসবে হয়ত একটু আগে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা আসে ২২ মে। এবছর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢুকে যেতে পারে, এমনই সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
উল্লেখ্য, সাইক্লোন ইয়সের হাত ধরেই রাজ্যে ঢুকছে বর্ষার রেশ। তাই বলাই রাজ্যের প্রায় দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুণছে বর্ষা, কারণ হয়ত আগামী সপ্তাহের শেষ থেকে ভ্যাপসা গরম উড়িয়ে তার জায়গায় দেখা দিতে পারে দমকা ঝোড়ো বৃষ্টি হাওয়া।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে আগামী ৭ই জুন মায়ানমারে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৯ই জুন সেটি বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপের আকার নিতে পারে। ১২ই জুনের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা উপকূলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই নিম্নচাপের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রাজ্যে বর্ষার আগমনের সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে ১১ থেকে ১৪ই জুনের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে এর ঠিক এক দিন আগে। মৌসম ভবনের দাবি পরপর দুটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও মৌসুমি বায়ু বা বর্ষার গতিতে কোনও বাধা তৈরি হয়নি। তাই বলা যেতেই পারে বর্ষার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুদিন পর ভারতীয় মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে বর্ষা।