লঙ্কায় গিয়েই রাবণ, পুকুর ভরাটের অভিযোগ অভিযুক্ত বিজেপি কাউন্সিলর

  • লঙ্কাই গিয়ে রাবণ হওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির  বিরুদ্ধে
  • তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পৌরসভায় পুকুরভরাট করার অভিযোগ উঠল
  • বিজেপির কাউন্সিলর তপন কাঁন্দু তাঁর প্রভাব খাটিয়ে পুকুরভরাট করে প্রোমোটিং করছেন বলে অভিযোগ
  • অভিযোগ গেল নবান্ন পর্যন্ত, পৌরপ্রধান বললেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়া হবে

Sabuj Calcutta | Published : Mar 15, 2020 8:19 AM IST / Updated: Mar 16 2020, 08:18 AM IST

এতদিন রাজ্য়ে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে পুকুরভরাটের অভিযোগ উঠত এবার উঠল বিরোধীদের বিরুদ্ধেও রাজ্য়ের বিরোধী দল বিজেপি -র বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভায় বেআইনিভাবে পুকুরভরাটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চিঠি গেল নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে এবং সেইসঙ্গে এমনটাও গেল, শুধু ওই পুকুরটিই নয়, ঝালদায় এখন নাকি  রাতের অন্ধকারে একের-পর-এক পুকুর  ভরাট করে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে

পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের 'মুচি গড়িয়া' নামক পুকুরটি বহু প্রাচীনসাধারণত হরিজনরাই ওই পুকুরটি ব্য়বহার করেন ওই ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার তপন কাঁন্দু ওই পুকুর ভরাট করে বাড়ি বানাচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছেআর এই অভিযোগ নিয়ে  ওই পুকুরের অংশীদার গোকুল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস প্রথমে পৌরসভার চেয়ারম্যান, পরে   মহকুমাশাসক ও জেলাশাসককেও  লিখিত অভিযোগ করেন। কাজ না হওয়ায় শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও  চিঠি লিখে বিষয়টি  জানান।

অন্য়দিকে তপন কাঁন্দু মুখে পুকুরভরাটের কথা অস্বীকার করলেও জনান্তিকে তিনি নাকি বলছেন, তাঁদের পারিবারিক পুকুর, তাই তা বুজিয়ে প্রোমোট করার অধিকার নাকি তার আছে যদিও পরিবেশ আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আয়তনের বেশি পুকুর কখনও ভরাট করা যায় না, মালিকানা যাঁরই হোক না কেন প্রসঙ্গত, এই  কাউন্সিলর ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে জিতে পরে দলবদল করে বিজেপিতে এসেছিলেন

এদিকে রুখাসুখা পুরুলিয়ায়, প্রায় চার-চারটে ওয়ার্ডের মানুষ ওই পুকুরের ওপর নির্ভরশীল  অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে একটু  একটু করে চলছে ওই পুকুর ভরাট করার কাজ সেখানে প্রোমোটিং হবে এর বিরুদ্ধে প্রথম বেঁকে বসেন, ওই পুকুরেরই অন্য়তম অংশীদার সঞ্জয় দাস তিনি  জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে যান কিন্তু তাতেও কাজ না-হওয়া সোজা নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানান

সঞ্জয় দাস জানান, "এই মুচি গড়িয়া  পুকুর আমাদের ঐতিহ্য হরিজনরা ব্য়বহার করেন। আজ সেই পুকুরকে নিজের প্রভাব খাটিয়ে কাউন্সিলার তপন কাঁন্দু ভরাট করে বাড়ি তৈরি করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, পাশের বড়ো বড়ো গাছ গুলোকে পর্যন্ত কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এই পুকুরটি চারটি ওয়ার্ডের লোক ব্যাবহার করেন। তাই বিচারের জন্য মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি ।" এদিকে বিজেপি পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই পুকুরই নয় ঝালদার আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে পুকুরভরাট করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। এমনকি কোনও কোনও পুকুরের অস্তিত্বই মুছে যাচ্ছে  বিক্রি হয়ে যাচ্ছে পুকুরের জমি। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে পুকুরভরাটের অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির সেই কাউন্সিলর তপন কাঁন্দু পুকুরভরাটের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন পৌরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার জানিয়েছেন, "পুকুর ভরাট মোটেই ঠিক নয়। অভিযোগ জমা পড়েছে আধিকারিকরা  তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না তদন্তে পুকুর ভরাট প্রমাণিত হলে অবশ্যই আইনত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।"

এদিকে বিজেপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওঠা পুকুরভরাটের এই অভিযোগকে ইস্য়ু করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল

Share this article
click me!